একাধিক অ্যাপ তৈরি করে জনসাধারণের কল্যাণে কার্যকর ভূমিকা রাখা প্রতিভাবান তরুণ উদ্যোক্তা জুবায়ের হোসেন। কলেজ পালিয়ে সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে ইন্টারনেটে প্রোগ্রামিং শিখতেন জুবায়ের। মাত্র ১৬ বছর বয়সে উদ্যোক্তা হয়ে ওঠা এই তরুণ প্রযুক্তিবিদ বেশ অল্প বয়েসেই সফলভাবে বাংলাদেশের আইটি সেক্টরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তাঁর উদ্ভাবিত ‘ভ্যাট চেকার’ অ্যাপ দেড় বছরে বাংলাদেশ সরকারকে সাড়ে তিন’শ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছিল। তাঁর একটি মোবাইল অ্যাপ ‘টপ টিউব’ মাত্র দুই বছরে বিশ্বব্যাপী ২৫ লাখ ব্যবহারকারী ছাড়িয়ে যায়। এছাড়া আরো অনেক উদ্ভাবনী কাজের মাধ্যমে দেশব্যাপী সাড়া ফেলে দিয়েছেন এই তরুণ নির্মাতা। জুবায়ের হোসেন তার কাজের স্বীকৃতি হিসেবে অর্জন করেছেন জাতীয় মোবাইল অ্যাপস অ্যাওয়ার্ড, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা উদ্যোক্তা সম্মাননা, ব্র্যাক আয়োজিত মন্থন ডিজিটাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড, আইসিটি এপিকটা অ্যাওয়ার্ড,ভিয়েনাতে আয়োজিত ওয়ার্ল্ড সামিট অ্যাওয়ার্ড সহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা। প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘জুবায়ের অ্যাপ একাডেমি’ যার মাধ্যমে তরুণদের আইটিতে ক্যারিয়ার গড়তে দিক নির্দেশনা এবং অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন গত তিন বছর ধরে। জুবায়ের হোসেন এর জন্ম ১৯৯৪ সালের ২২ জুন, গোপালগঞ্জ এর মুকসুদপুর থানার সালিনাবক্সা গ্রামে। স্কুল শেষ করেন খুলনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে এইসএসসি পাস করার পর পড়াশুনা করেছেন মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি তে। যদিও জুবায়ের এর পড়াশুনা বিমান প্রকৌশল নিয়ে, তিনি পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। জুবায়ের বিশ্বাস করেন, তরুণদের কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। তাই তিনি একাই নন বরং সব তরুণদের নিয়ে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন।