বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের জেলা বগুড়ার এক বহুমাত্রিক প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব ডঃ পিনাকী ভট্টাচার্য। তার অনেকগুলো পরিচয়। তিনি জনপ্রিয় মূলত একজন ব্লগার এবং অনলাইন সোশ্যাল এক্টিভিস্ট হিসেবে। মানবাধিকার রক্ষায় একজন প্রতিবাদী চরিত্র তিনি। চিকিৎসাবিদ্যার ছাত্র হয়েও চিকিৎসক পেশাকে তেমন একটা গুরুত্ব না দিয়ে বেছে নিয়েছেন শিল্পসত্ত্বাকে, মনোনিবেশ করেছেন সাহিত্য রচনায়। তিনি বাংলাদেশের একজন লেখক হিসেবে পরিচয় দিতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ছাত্রজীবন থেকেই পিনাকী ভট্টাচার্য রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। যেকোনো অপরাধ, অনাচার, শোষণ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে তিনি সদা সোচ্চার। তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ফেসবুক অথবা টুইটার সবসময়ই গরম থাকে ক্ষমতায় থাকা সরকারের দুর্নীতি, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা এবং চলমান অপ্রীতিকর ঘটনার আলোচনা-সমালোচনা নিয়ে। কৌতুকবোধসম্পন্ন এবং ব্যঙ্গাত্বক লেখনীর জন্য তিনি কিছুটা বিতর্কিতও বটে। তাঁর এমন চাঁচাছোলা লেখনীর কারণে তিনি বিভিন্ন সময়ে প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন কোনো কোনো গোষ্ঠীর কাছ থেকে। কিন্তু কেউই তার কলম থামাতে পারেনি। পাঠকবৃন্দ লেখক পিনাকী ভট্টাচার্যের লেখায় যেমন খুঁজে পাবেন চলমান রাজনীতি, সমাজ-সংস্কৃতি, দর্শন, কিংবা হারানো ইতিহাসের চিত্র, তেমনি স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়েও জানতে পারবেন নতুন নতুন তথ্য। পিনাকী ভট্টাচার্য এর বই সমগ্র, যেমন; মার্কিন ডকুমেন্টে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, সোনার বাংলার রূপালী কথা, ভারতীয় দর্শনের মজার পাঠ, নানা রঙের রবীন্দ্রনাথ, ধর্ম ও নাস্তিকতা বিষয়ে বাঙালি কমিউনিস্টদের ভ্রান্তিপর্ব প্রভৃতি তার সাড়া জাগানো রচনা। পিনাকী ভট্টাচার্য এর বই সমূহ সংখ্যায় প্রায় ২০টি। নেতিবাচক এবং ইতিবাচক, দু’ভাবেই বর্তমান তরুণ প্রজন্মের কাছে তিনি খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর অনুসরণকারীর সংখ্যা দু’লাখের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।