ড. জাকির নায়িক একটা কথা প্রায়ই বলতেন, “Quran isn’t a book of science, it’s a book of signs”.
কুরআনে অনেক আয়াতে আল্লাহ বারবার আমাদেরকে নিদর্শন দিয়েছেন, বিভিন্ন উপমা ব্যবহার করেছেন। সূরা বাকারা থেকে শুরু করে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে দুনিয়ার উদাহরণ দিয়েছেন কখনো আসমান থেকে বর্ষণ হওয়া পানির সাথে, কখনো শুকিয়ে খড়কুটায় পরিণত হওয়া উদ্ভিদের সাথে, হিদায়াতের তুলনা দিয়েছেন আলো আর গোমরাহির তুলনা দিয়েছেন অন্ধকারের সাথে। এভাবে গোটা কুরআন অসংখ্য উপমায় ভরপুর। কিন্তু স্রেফ তরজমা পড়ে সেগুলোর ব্যাখ্যা বোঝা যায় না। এগুলো এতটাই গভীর হয় যে, মাঝে মাঝে খেই হারিয়ে ফেলতে হয়। বাংলায় অনূদিত তাফসীর গ্রন্থগুলোতেও এগুলোর অন্তর্নিহিত শিক্ষা নিয়ে খুব বেশি আলোচনা পাইনি। অপর দিকে কুরআনীয় উপমা নিয়ে যুগ যুগ ধরে কিতাব লিখে গেছেন বহু আলিম। তাদের মধ্যে অন্যতম ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম রহ.।
ইতিহাসের পাতায় যে কয়েকজন কুরআনের আশেক ছিলেন, যাদের করে যাওয়া খেদমত থেকে আজও আমরা উপকৃত হচ্ছি, সেই সেরাদের একজন এই মহান ইমাম। ইবনুল-কাইয়্যিম রহ. কুরআনের গোটা গোটা উপমাগুলো একত্র করেছেন এবং ধারাবাহিকভাবে সেগুলোর ব্যাখ্যা নিয়ে সাজিয়েছেন الأمثال في القرآن الكريم গ্রন্থটি। এখানে তিনি বের করে এনেছেন কুরআনের এমন অজানা রহস্য ভাণ্ডার, আমার বিশ্বাস এর সন্ধান অধিকাংশ পাঠক আগে কখনো পাননি, বা আগে কখনো ভেবে দেখেনি। এই গ্রন্থেরই অনুবাদ ‘নূরুন আলা নূর’।