সাইকোলজি, মানব মনের ব্যবচ্ছেদ, মানসিক চিকিৎসা—আধুনিক সমাজে বেশ ভালোভাবে গেঁড়ে বসেছে। পশ্চিমা দেশে তো সবচেয়ে ব্যয়বহুল চিকিৎসা। সাইকাইট্রিস্টদেরও কদর বাড়ছে। মুসলিম সমাজে আত্মশুদ্ধি, অন্তরের পরিচর্যা বিষয়ক প্রচুর বইপত্র, ওয়াজ নসিহত এর চল থাকলেও আধুনিক শিক্ষিত সমাজ বস্তুবাদের কাছে এভাবে বন্দী হয়ে আছে, তাদের লেভেলে আলোচনা না হলে তারা শুনতে বা পড়তে প্রস্তুত নয়। সেজন্য তারা পয়সা খরচ করে মোটিভেশনাল স্পিচ শুনবে, দামী দামী সব বিদেশি বই পড়বে, সেক্যুলার নানান তত্ত্ব কপচাবে, কারণ তাদের ধারণা আধুনিক এসব বিষয় “ইসলামে” নেই। আসলেই কি তাই?
.
অথচ আমাদের নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “…মনে রেখো, শরীরের ভেতরে এক টুকরো মাংসপিণ্ড আছে, যখন এটা ভালো থাকে, সমস্ত শরীর ভালো থাকে; যখন এটা আক্রান্ত হয়, সমস্ত শরীর আক্রান্ত হয়। আর সেটা হলো ক্বলব।” (মুসলিম, হাদিস নং ১৩৩)
.
মানুষের যে মনটা স্বয়ং আল্লাহ বানালেন, সেই মনের জন্য, সেই অন্তরের জন্য কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ—তার খোঁজ আমরা করে বেড়াচ্ছি অন্য কোথাও, অন্য কারো কাছে! কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছি মানসিকভাবে ভালো থাকতে, সুখে থাকতে! অদ্ভুত না?
.
ড. আইশা হামদান আগের জীবনে অমুসলিম ছিলেন। পরে তিনি মুসলিম হন এবং ইসলামের উপরও পড়াশোনা করেন। তাঁর মূল পড়াশোনা ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির উপর। আমেরিকা, আরব আমিরাত, সৌদি আরবে এই বিষয়ের উপর দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন। সাইকোলজির উপর নিজের সেক্যুলার পড়াশোনা এবং পরবর্তীতে ইসলামের ছায়ায় এসে ইসলামের পড়াশোনা শেষে তিনি নিজের এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন যা সেক্যুলার সাইকোলজির পড়াশোনা তাকে দিতে পারেনি। তিনি জানতে পেরেছেন ইসলাম যেভাবে মানবমনকে ব্যাখ্যা করেছে, বাস্তবিকভাবে আর কোনো শাস্ত্র সেটা পারেনি। পরবর্তীতে এই বিষয়ের উপর তিনি লিখেছেন একটা অসামান্য বই “Psychology from Islamic Perspective”. আমাদের আলোচ্য বইটি সেই অসাধারণ বইটিরই বাংলা অনুবাদ—”সাইকোলজি: ইসলামি দৃষ্টিকোণ”।