"আল আদাবুল মুফরাদ, ইসলামী আচরণ" বইটি সম্পর্কে আলোচনা
আল-আদাবুল মুফরাদ
ইমাম বুখারী (রহঃ) সংকলিত সহীহ আল বুখারীর পর তার যে কিতাবটি মুসলিম সমাজে সর্বাধিক পরিচিত তা হচ্ছে ‘ আল আদাবুল মুফরাদ’। এটি মূলত শিষ্টাচার সংক্রান্ত হাদিসের সংকলন। ইসলামি সমাজে মু’আমিলা তথা পারস্পরিক সম্পর্কের উপর অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। যারা ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত তাদের শিষ্টাচারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। তাদের ব্যবহার, আচার-আচরণ, নৈতিকতা ইত্যাদি দেখেই মানুষ ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হবে। যে নসিহত প্রদান করা হয় এবং সে অনুযায়ী তা অর্জনের শিক্ষা দেওয়া হয়। তাছাড়া মানব সম্প্রদায়কে অন্যান্য প্রাণী জগত থেকে স্বতন্ত্র করার পেছনে যে কয়টি কারণ কার্যকর রয়েছে তার মধ্যে শিষ্টাচার অন্যতম। তাই মানব সভ্যতার বিকাশেও শিষ্টচারের ভূমিকা অনন্য। এ দিক থেকেএ গ্রন্থের ভূমিকা অসাধারণ। এতে ১৩৩৬ খানা হাদিস ৬৪৩টি শিরোনামে বর্ণনা করা হয়েছে । আদাব ও নৈতিকতা সংক্রান্ত হাদিসের এতো বড় সমাহার আর দ্বিতীয়টি নেই।
ইসলামী আচরণ
আমরা আমাদের প্রিয় নবী (স:)-এর কথা ভুলে গেছি বলে পথ হারা হয়েছি। ফলে কোথায় কোন আইন মেনে চলতে হবে, কোথায় কেমন আচরণ করতে হবে, কোথায় কি কথা বলতে হবে- ইত্যাদি ব্যাপারে আমরা সঠিক ভূমিকা পালন করতে পারছি না। ইসলামী আচরণ বইটি আসলে নিজের আচরণ ঠিক করার জন্যই লিখা হয়েছে । আমাদের কি কি ভুল আছে তা বের করে কি ধরনের আচরণ কুরআন হাদীস চায় তার তালিকা করতে এই বইটি সহায়ক হবে। কোন আচরণ ভুল হয়ে গেলে এবং সাথে সাথে ধরতে পারলে সংশোধন খুবই সহজ হয় বইটি পড়া থাকলে । আবার কাজ করার মুহূর্তে মনে না পড়লেও কাজ শেষে যখন মনে পড়ে তখন সংশোধনের জন্য ব্রতী হওয়ার সুযোগ পাওয়া যায় । এভাবেই আচরণকে সুন্দর করে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাবার চেষ্টা করা যাবে।