রমযানের তিরিশ শিক্ষা
রমজান মুসলমানদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক অতি বড় নিয়ামত। মানুষের কল্যাণের জন্যই রোজার বিধান চালু করা হয়েছে।
এই মাস কল্যাণ ও সৌভাগ্যে পরিপূর্ণ। এই মাস রহমত, বরকত ও মাগফেরাতের মাস। এই মাসে আছে কদরের রাত যা হাজার মাসের চাইতে উত্তম। এই মাসেই আল্লাহ পবিত্র কোরআন নাযিল করেছেন। তাই এই মাসটি এতো বরকতময়।
আল্লাহ হুকুম যথার্থ অনুসরণ করে অনেকেই মাহে রমযানের নিয়ামতে ধন্য করেন নিজেদের, আবার আমরা অনেকে এই কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হই। কারণ আমরা জানি না কিভাবে এ মাসের ইজ্জত করতে হয়, কিভাবে চললে লাভ করা যায় এ রহমত ও বরকত। রমযান মাসে কিভাবে চলতে হবে? কিভাবে রোজা পালন করতে হবে, কি করলে আমরা রমযান মাসের ফযিলত থেকে বঞ্চিত হবোনা এবং রমযানের ফযিলত সম্পর্কে লেখক এই বইতে খুব সুন্দর ভাবে আলোচনা করেছেন।
জেগে ওঠো আবার
কত মেঘ, কত রং, আর কত জোসনা। কুরআনের নান্দনিকতা ব্যাখ্যা করার জন্য এ বাক্যটি কতটা যুতসই? না, কুরআনকে আসলে সংজ্ঞার ফ্রেমে বাঁধা যায় না। এ এক মহা বিস্ময়ের নাম। আচ্ছা, কুরআনকে নানা দৃষ্টিভঙ্গি থেকে পড়ার ইচ্ছে কি কখনো উঁকি দিয়েছে আপনার মনে? মানে, কুরআনের ভাষাগত সৌন্দর্য, ব্যাকরণের সাত-সতেরো, আগের যুগের ইমামদের ব্যাখ্যা—কিংবা আধুনিক যুগের আয়নায় কুরআন পাঠ, এমন শত আকাঙ্ক্ষা ভর করেছে কখনো আপনার মাথায়? কুরআন কি হিউম্যান সাইকোলজি নিয়ে কথা বলে? কুরআন কি মানুষের প্রাত্যহিক একেবারে খুবই আটপৌরে বিষয় নিয়েও কথা বলে? আচ্ছা, কুরআন নিয়েও কি গল্প করা যায়? এমন প্রশ্ন নিশ্চয়ই আপনার মনে হামেশাই ঘুরপাক খায়। আপনার এই সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন ‘জেগে ওঠো আবার’ বইটির পাতা ওলটালে। ঝরঝরে বাংলায়, অনেকটা সাহিত্যের ঢঙয়ে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে শত দৃষ্টিকোণ থেকে। বইটি পড়ার পর জ্যামে আটকে থাকা বাসে বসেও আপনি টের পাবেন—কুরআন আপনার সাথে কথা বলছে। অলস দুপুরে পুকুর ঘাটে বসেও আপনি অনুভব করবেন—কে যেন আপনার কানে কানে কুরআনের কথা শুনিয়ে যাচ্ছে। জীবনের সাথে যদি কুরআনকে একাকার করে ফেলতে চান, যদি জীবনটা সাজাতে চান কুরআনের ছন্দ-সূত্র বা মূলনীতি মেনে, তাহলে আর এক পলকও দেরি নয়। খাটের কোণায় একটা সোনালি আলোর ল্যাম্প জ্বেলে, বালিশে হেলান দিয়ে ডুব দিন ‘জেগে ওঠো আবার’-এর রহস্য অরণ্যে—সেথায় কখনো মেঘ, কখনো রদ্দুর, আর কখনো জোসনা ফোটে
হায়াতের দিন ফুরোলে
সবকিছু ফুরিয়ে আসে, মুছে যায় সব রঙ। সমাপ্তির পথে ধাবিত হয় সব আয়োজন। ক্ষয়িষ্ণুতাই হলো দুনিয়ার পরম বাস্তবতা। সব গতি ধীর হয়ে আসে, ক্ষীণ হয়ে আসে সব সুর, ম্লান হয় আলোর উজ্জ্বল রোশনিটুকুও। জীবনের পরিণতিও একই—একদিন অকস্মাৎ বেজে যায় বিদায়ের ঘণ্টা। সত্যি সত্যি ফুরিয়ে যায় হায়াতের দিন।
এই কঠিন এবং অলঙ্ঘনীয় পরিণতি দুয়ারে এসে দাঁড়ানোর আগে, আমরা যদি গুছিয়ে নিতে পারি মহাকালের মহাযাত্রার সম্বল, যদি লাভ করতে পারি সুমহান রবের সন্তুষ্টি—তবেই সার্থক একটা মানবজীবন। দুনিয়া হয়তো আমাদের বিস্মৃত হবে, কিন্তু আসমানে আমাদের অভ্যর্থনা জানানো হবে অপার্থিব আয়োজনে। সেই জীবনের দিকে যারা আপনাকে আহ্বান জানায়, নিঃসন্দেহে তারাই আপনার প্রকৃত শুভাকাঙ্খী। হায়াতের দিন ফুরোলে বইটিও আপনার শুভাকাঙ্খীদের দলে নাম লেখাতে চায়...।