মইনুল হোসেন, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বি এস সি করেছেন কুয়েট থেকে ।
তবে এর চেয়েও তার বড় পরিচয় তিনি কুরআনের একজন শিক্ষক । মানুষ যেন সহজ ভাবে কুরআন শিখতে পারে সেজন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সেই ২০১২ সাল থেকে । ইচ্ছা একটাই । মানুষ যেন শুদ্ধভাবে আল্লাহর কালাম পড়া শিখতে পারে ।এজন্য অনেক চেষ্টা সাধনার মাধ্যমে লিখেছেন ২৭ ঘন্টায় কুরআন শিক্ষা বইটি, একদম সহজ ভাষায় পর্যাপ্ত উদাহরণসহ। শুধু বাঙালি না বরং অন্যরাও যেন উপকৃত হতে পারে সেজন্য বইটি বের করেছেন বাংলা, হিন্দী, উর্দু ও অসামীয়া ভাষায়। বর্তমানে ইংরেজীতেও বইটির অনুবাদ কাজ চালিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
অসম্ভব মনে হতে পারে কিন্তু আপনি যদি আল্লাহর উপরে ভরসা করে, আজ হতে প্রতিদিন ১ ঘন্টা করে কুরআন শরীফ পড়া শিখতে শুরু করেন তবে আপনি মাত্র ২৭ দিন শেখার পর কুরআন শরীফ পড়তে, পারবেন ইন্শাআল্লাহ। বইটি একটি খাতা। শর্ত হল পড়তে হবে, শূন্যস্থান পূরণ করে বইয়ের মধ্যে লিখতে হবে, পরীক্ষা দিতে হবে ও পরীক্ষার খাতা দেখতে হবে। এই বইটির ৪টি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য আছে।
* প্রতিটি আরবী লেখার নীচে, বাংলা উচ্চারণ দেয়া আছে।
* প্রচুর শূন্যস্থান পূরণ আছে। ভালাে পেন্সিল ও ভালাে রবার ব্যবহার করতে হবে। বইটি খাতা হিসাবে ব্যবহৃত হবে।
* প্রতি ঘন্টা পড়ার পর পরীক্ষা আছে। ফলে আপনি পরীক্ষা দিয়ে নিজেই বুঝতে পারবেন, আপনার ঐ ঘন্টার পড়া শেখা হয়েছে কিনা।
* প্রতি দিন ১ ঘন্টা করে বইটি পড়ুন। মাত্র ২৭ দিনে কুরআন শরীফ পড়া শিখতে পারবেন, ইনশাআল্লাহ।
পূর্ণাঙ্গ নামাজ শিক্ষা
রাসূলুল্লাহ (স:) তাঁর মত নামায জান্নাতের সু সংবাদ দিয়ে বলেছেন, আল্লাহ তা’আলা নামায ফরয করেছেন। যে এ পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য সুন্দরভাবে ওযূ করে নির্ধারিত সময়ে নামায আদায় করেছে, রুকূ সিজদা বিণয় এবং নম্রতাপূর্ণ করেছে, তাকে আল্লাহ তা’আলার ক্ষমা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। যে তা করবে না তার জন্য কোন প্রতিশ্রুতি নেই। তিনি ইচ্ছা করলে তাকে মাফ করতে পারেন কিংবা শান্তিও দিতে পারেন। (আবু দাউদ) এ হাদীস থেকে একজন মুমিনের জীবনে নামায কত গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝা যায়।আমরা অত্র গ্রন্থে মানুষ নামায পড়তে গিয়ে যে সব ভুল-ভ্রান্তি করে থাকে সে সব স্পষ্টভাবে তুলে ধরেছি। আশাকরি পাঠক মনযোগ সহকারে অধ্যায়ন করে নামায পড়লে ইন্শা’আল্লাহ নামায শুদ্ধ হবে।