সাহাবিদের অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে প্রচলিত ধারণা বদলে দিতে পারে এই বই!
অনেকেই মনে করেন সাহাবিরা গরিব ছিলেন বলে অভুক্ত থাকতেন, ছেঁড়া জামা পরতেন, তালিযুক্ত জামা ব্যবহার করতেন। সাহাবিদের অনাড়ম্বর জীবনযাপনের পেছনে মূল কারণ কি অভাব-অনটন?
সাহাবিদের অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে আমাদের মধ্যে যে দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে ওঠেছে, সেটার অন্যতম কারণ হলো সাহাবি-জীবনের পূর্বের ঘটনা এবং যুদ্ধের সময়কালের ঘটনা। বিশেষ করে খন্দকের যুদ্ধের ঘটনার সময় তাদের অভুক্ত থাকার ঘটনাগুলো পড়ে মনে হয় তারা বুঝি সবসময় এমন থাকতেন!
কিন্তু আসল চিত্র ভিন্ন। খায়বার বিজয়ের পর মদিনার সমাজে যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি শুরু হয়, সেই ধারা অব্যাহত থাকে। সাহাবিদের অর্থনৈতিক জীবনে আসে আমূল পরিবর্তন। উমর ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর যুগে বেশিরভাগ সাহাবি ধনী হন। ধনী হবার সাথে সাথে তারা নিজেদের জীবনযাত্রায় দৃশ্যমান পরিবর্তন করেননি; আগের মতো সাদাসিধে জীবনযাপন করতেন।
অন্যদিকে, অনেক সাহাবি প্রথমযুগেই কোটিপতি ছিলেন। তারা ব্যবসা করতেন। যেমন: উসমান রাদি., আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদি., তালহা রাদি.।
• ইন্তেকালের পূর্বে আব্দুর রহমান ইবনে আউফ রাদি. –এর সম্পদের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৭৭০ কোটি টাকা
• তালহা ইবনে উবাইদিল্লাহর সম্পদের পরিমাণ ছিলো প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা
• যুবাইর ইবনুল আউয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহুর ছিলো প্রায় ৪০০০ কোটি টাকা
• উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর ছিলো প্রায় ৫০০০ কোটি টাকার বেশি সম্পদ।
সেইসব সাহাবি দুনিয়ার বুকে জান্নাতের সুসংবাদ পান এবং দুনিয়াতেই তারা ছিলেন কোটিপতি। কীভাবে তারা এতো সম্পদ উপার্জন করেন? কীভাবে তারা ব্যবসা করেন? উপার্জিত সম্পদ কোন কোন খাতে ব্যয় করেন?
‘কোটিপতি সাহাবি’ বইয়ে সাহাবিদের সম্পদ উপার্জন, ব্যবসার গল্প, সম্পদ ব্যয়ের ঘটনাগুলো রেফারেন্স সহ উল্লেখ করা হয়েছে। বইটি সাহাবিদের অর্থনৈতিক জীবন সম্পর্কে প্রচলিত দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিবে, ইন শা আল্লাহ।