১৯৭৩ সালে ইয়োম কিপুর যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুতর যুদ্ধক্ষেত্র গোলান মালভূমিতে ইজরাইলি সেনাসদস্য হিসেবে লড়েছেন। এরকম একজন ‘ইহুদি’ থেকে আমরা যা আশা করি, প্যাপের ক্ষেত্রে সেরকমটা করলে ‘আশাহত’ হতে হবে নিশ্চিত। হ্যাঁ, তিনি এবং তার মতো বেশকিছু ইজরাইলি ইতিহাসবিদ আপনাকে আশাবাদী করবে যদি আপনি নতুন পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। যদি স্বপ্ন দেখেন কাফনরূপে মাতৃভূমির পতাকা গায়ে নিয়ে গোরস্তানের পরিবর্তে ফিলিস্তিনিরা একদিন মাতৃভূমির পতাকা বুকে জড়িয়ে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিনের রাজপথে হাঁটবে। ফিলিস্তিনি শিশু বাবার কাঁধে চড়ে কচি হাতে দেশের পতাকা নাড়িয়ে ‘ইয়াওমুল কুদস’ উদযাপন করবে।
বর্তমান বিশ্ব মূলত ‘মাল্টিলেয়ার্ড’ বা বহুস্তরবিশিষ্ট বিশ্ব। এক ধাপে কাজ করে কিচ্ছু হয় না। কোনো ফেনোমেনা চেঞ্জ করতে হলে কাজ করতে হয় বহু ধাপে, বহু স্তরে, বহু বছর ধরে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক, সামরিক, সাংস্কৃতিক, বুদ্ধিবৃত্তিক এবং আরও অনেক অনেক ক্ষেত্রে! তেমনি ফিলিস্তিন-ইজরাইল ইস্যুর সমাধানও একদিনে হবে না। এক ধাপে হবে না। পরিবর্তন আসবে ধীরে ধীরে। বহু বছরে জনমত প্রভাবিত হতে হবে, বুদ্ধিজীবীরা সচেতন হবে, লেখক-কলামিস্টরা সত্য খুঁড়ে আনবে, হামাসের রকেটের গতি তীব্র থেকে তীব্রতর হবে, তারপর হয়ত কাক্সিক্ষত পরিবর্তনের ছোঁয়া পাবে। ইলান প্যাপে বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষেত্রে কাজ করে যাচ্ছেন। এই বই সেক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ, বরং বলা চলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংযোজন।