তিনি ছিলেন একজন সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি। আরবি ও ফারসি সভ্যতায় যার বিস্তর দখল ছিল। ছিলেন সূক্ষ্ম অনুভূতিসম্পন্ন মানুষ। কখনাে তুচ্ছ কারণে রেগে যেতেন। তুচ্ছ কারণে হত্যা করতেন। আবার সাধারণ কারণে ক্ষমা করে দিতেন। অনেক কঠিন বিষয়ে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতেন বীর যােদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করতেন। সব ধরনের বিদ্রোহ দমন করেছিলেন। নামাজ পড়তেন, হজ করতেন। কখনাে গ্রীষ্মকালীন, কখনাে শীতকালীন বাহিনীর নেতৃত্ব দিতেন। নিজের শৌর্য প্রকাশ করতেন। কিখনাে ভীত হতেন। ক্রন্দন করতেন। আবার বিনােদনে মেতে উঠতেন। নাচ-গানের মনােরম। মজলিস বসত তার প্রাসাদে। এসব তর অনুভতিসম্পন্ন হৃদয়ের প্রমাণ। হারুনুর রশিদ মনসরকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন জ্ঞান-বিজ্ঞান ও শিল্পে।, তিনি। সবাইকে ছাড়িয়ে যান। তার চারপাশে ছিল জ্ঞানী ও শিল্পীদের ভিড়। আর ইউসফ ফিকাহ ইসহাক মসুলি সংগীত ও বারমাকিরা রাজ্য পরিচালনায় ছিল দক্ষ ব্যক্তি, এসব তার প্রাসাদকে প্রাণকেন্দ্র বানিয়ে দেয়। সবকিছু নিয়ে তা সৌন্দর্যের বড়াই করতে পারত; হারুন উর রশিদের মতাে গুণের সমাহার আমরা অন্য কোনাে খলিফার মাঝে পাই না