একসময় মুশরিকরা idol (মূর্তি) পূজা করত। এখনকার মুশরিকরা ideology (মতাদর্শ) পূজা করে। পশ্চিমারা আজ বিভিন্ন বস্তুবাদী মতবাদকে সেরা ধরে নিয়ে ইসলামকে আক্রমণ করে। ইসলাম কেন তাদের মনমতো হলো না—এসব জানতে চায়। এটা ওই মক্কা আর গ্রীসের মুশরিকদের পুরোনো কলাকৌশলের-ই নতুন রূপ। ওই একই পদ্ধতিতেই এর মোকাবিলা করতে হবে।
কিন্তু অমুসলিমরা একটার পর একটা আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করেই যাবে, আর মুসলিমরা সেগুলোর রক্ষণাত্মক জবাব দিয়েই যাবে—এটা দাওয়াহর আদর্শ পদ্ধতি নয়। যাদের অন্তরে রোগ আছে, তারা একের-পর-এক প্রশ্ন আনতেই থাকবে। এগুলোর প্রত্যুত্তরে বই লিখতে থাকলে বইয়ের লাইব্রেরি হয়ে যাবে, কিন্তু বিদ্বেষীদের প্রশ্ন তখনও শেষ হবে না।
তা ছাড়া ইসলামের কিছু বিধান এমন আছে, যেগুলো অমুসলিম তো দূরের কথা, মুসলিমদের কুপ্রবৃত্তিই মানতে চাইবে না। এমনকি কিছু হুকুমের ব্যাপারে আল্লাহ তো জানিয়েই দিয়েছেন যে, এগুলো আমাদের অপছন্দ হবে। কিন্তু কুপ্রবৃত্তির বিরুদ্ধে গিয়ে সেগুলো পালন করতে হবে। ‘আজকে এগুলো অমুসলিমদেরকে পছন্দ করিয়েই ছাড়ব’—এমন মনোভাব নিয়ে যদি কেউ নাস্তিকদের সাথে তর্ক শুরু করে, তাহলে প্রবল সম্ভাবনা আছে যে, তার্কিক সাহেব আল্লাহর দ্বীনকেই বিকৃত করে ছাড়বেন। আবার কিছু বিধান আছে যেগুলো বাস্তবে প্রয়োগ করে দেখানো ছাড়া কখনোই সেগুলোর সুফল বোঝা যাবে না। যেমন—ইসলামি অর্থনীতি বা বিচারনীতি বাস্তবে প্রয়োগ না করে শুধু এর পক্ষে বইয়ের পর বই লিখে যাওয়াটা পূর্ণাঙ্গ সমাধান না।
‘সত্যকথন ২’ বইটিতে নাস্তিক-অজ্ঞেয়বাদী-সেক্যুলার কর্তৃক সৃষ্ট সংশয়ের প্রত্যুত্তর দিয়েই ক্ষান্ত হননি লেখকেরা, সেগুলোর ব্যবচ্ছেদও করেছেন। সংশয়ের দোলাচলে দোল খাওয়া মুসলিমদের সংশয় নিরসনে বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইন শা আল্লাহ।