জুমুআর দিন বলতেই আমরা বুঝি সপ্তাহ শেষে ছুটির দিন। শুক্রবার এলে পুরো সকাল ইচ্ছেমতো ঘুমাব, দুপুরে জম্পেশ খাবার খাব, আর বিকেলে উদাস নয়নে ঘুরে বেড়াব। মুসলমান হিসেবে মাঝখানে দুপুর বেলায় মাসজিদে একটুখানি হাজিরা দিয়ে আসব।
জুমুআর দিনে আমাদের অধিকাংশের প্ল্যান-প্রোগ্রাম এর ব্যতিক্রম হয় না। বেঘোর ঘুম, জম্পেশ খাওয়াদাওয়া আর উদাস ঘুরে বেড়ানো ছাড়া ছুটির দিনে আর কীই-বা করার আছে! কিন্তু জুমুআর দিন কি আমাদের জন্য সত্যিই ছুটির দিন? না; জুমুআর দিন আমাদের জন্য ছুটির দিন নয়। জুমুআর দিন হলো আমাদের জন্য আমলের দিন, অগণিত সাওয়াব হাসিলে নিজেদের ব্যস্ত রাখার দিন। ঘুম, খাওয়া আর টইটই করে ঘুরে বেড়িয়ে উদাস হওয়ার দিন নয়।
জুমুআর দিন সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুরোটা সময় রয়েছে নানা ধরনের ইবাদাতের সুযোগ। সূরা কাহফ তিলাওয়াত, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা, গোসল করে খুশবু লাগিয়ে আগে আগে মাসজিদে চলে যাওয়া এবং শেষ বিকেলে আল্লাহর কাছে যা ইচ্ছে তাই চেয়ে নেওয়ার মতো অগণিত আমল রয়েছে মহিমান্বিত এই জুমুআর দিনে।
জুমুআর দিনের সুন্নাহ, করণীয়-বর্জনীয় এবং এ দিনের মাহাত্ম্য নিয়ে বাংলা ভাষায় প্রথম পূর্ণাঙ্গ বই হিসেবে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে শাইখ মুস্তফা আল আদাবী রচিত ‘মহিমান্বিত জুমুআ’। ছুটির দিন হিসেবে খ্যাত আমাদের জুমুআর দিনকে মহিমান্বিত করে তুলতে এ বইটি হয়ে উঠবে পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা, ইনশা আল্লাহ্।