অন্ধকার গুহা। মুখ খোলা, কিন্তু আলো আসছে না। আকাশে যে রোদ নেই! অবশেষে সূর্য উদিত হল। রোদের প্রথম সে পরশ ছড়িয়ে গেল প্রান্তরে, পাহাড়ে, দ্বীপান্তরে। সে আলো চুইঁয়ে ঢুকলো আঁধার গুহাতেও।
আলো? সে এক আহ্বানের আলো।
.
কেমন করে এলো সে আলো?
নগরীর পাহাড় থেকে অনেক কাল আগে এক যুবক এলাকাবাসীকে ডেকেছিলেন। যিনি পরিচিত ছিলেন সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত নামে। দস্যুরা আক্রমণ করেছে ভেবে সবাই পড়িমরি করে পাহাড়ের দিকে ছুটে গিয়েছিল সে ডাকে। কিন্তু না! তিনি দুনিয়ার বিপদের কথা জানাতে তাদের ডাকেননি। ডেকেছিলেন পরকালের ভয়াবহ বিপদের কথা জানাতে। কেউ শোনেনি। তবে আল্লাহর ইচ্ছায় একসময় সে যুবকের দেখানো পথে বহু মানুষ আলোর দিশা পেয়েছিল।
.
আজ বহু বছর পর কিছু দস্যু সেই আলোর মশালকে নিভিয়ে দিতে পঙ্গপালের মত আক্রমণ করেছে। ওদের লক্ষ্য, একজন মুমিনের জীবনে সবচে’ দামী সম্পদ ঈমানকে ছিনিয়ে নেয়া। মুসলিমদের জীবনটাকে উদ্দেশ্যহীন বানিয়ে ফেলা। অন্ধকার জগতের সেই ডাকুদের বিরুদ্ধে এ বই ক্ষুদ্র এক প্রচেষ্টামাত্র। যেন ঈমানদারেরা তাদের হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
.
আর গুহার অধিবাসীরা ফিরে আসে অন্ধকার থেকে আলোতে।