আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা এর অস্তিত্বের ও বড়ত্বের অসংখ্য নিদর্শন এ বিশ্ব চরাচরে বিদ্যমান । যিনি ওইসব নিদর্শনাবলি নিয়ে একটু চিন্তভাবনা করবেন তিনিই আল্লাহর অস্তিত্বের প্রমান পেয়ে যাবেন । ”আল্লাহর নিদর্শন তালাশ করো “ পুস্তকটিতে গ্রন্থকার অত্যন্ত সাবলীলভাবে মহান আল্লাহর অস্তিত্বের ও বড়ত্বের বহু নিদর্শনকে ফুটিয়ে তুলেছেন । আশা করি, আমাদের শিশু-কিশোর এসব নিদর্শনাবলি পাঠ করলে তাদের নিষ্পাপ,নিষ্কলুষ ,পূত -পবিত্র হৃদয়ের মণিকোঠায় ঈমানের নূর (বিশ্বাসের আলো ) প্রজ্বলিত হবে এবং কুফরের ( অবিশ্বাসের ) পষ্কিলতা,কুলষিত অন্ধকার দূরীভূত হবে । দেখো ও ভাবো ! গ্রীষ্মকালের সন্ধ্যাকালে যখন মৃদমন্দ বায়ু প্রবাহিত হয়,তখন তুমি কীভাবে এর অস্তিত্ব বুঝতে পার ? তুমি বাতাস দেখতে পাও ? আদৌ না । কীভাবে তুমি নিশ্চিরূপে জানতে পার যে,বায়ু আছে ? এমন কিছু নিদর্শন আছে,যা আমরা আবিষ্কার করতে পাারি । কী নিদর্শন ?যখন বাতাসের ঝাপটা বেগে ধাবিত হয়ে যায়,তখন কাগজগুলো বাতাসে পতপত করে উড়ে যায় । দেখো ও ভাবো ! যখন বায়ু ধীরগতিতে বা মৃদুমন্দভাবে প্রবাহিত হয়,তখন তুমি কীভাবে বুঝতে পার যে ,বাতাস আছে ? তুমি তো বায়ু দেখতে পাও না , কিন্তু তুশি এটাকে অনুভব করতে পার । ঝড়োহওয়া প্রবাহিত হলে গাছপালা ও গুলোর পাতায় খস খস শব্দ তুলে দোল খায় । দেখো ও ভাবো ! এক বাতাসে ভরা পড়ন্ত বেলায়,ভাস মান মেঘমালায় পেছনে থেকে । সূর্যটা যখন উকি মারে…. বায়ু প্রবাহিত হয়। কিন্তু তা দেখা যায় না ।