পরীক্ষার মারহালা কখনো থেমে রবে না। সংঘাতের অগ্নিশিখাও কোনো দিন নিষ্প্রভ হবে না। এই দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ চলতে থাকবে আপন গতিতে। পাপরাশি অথই জলধারায় সমুদ্রে ঢেউ খেলতে থাকবে। যারা সেখান থেকে তৃষ্ণা নিবারণ করবে, তারা বিফল হবে। আর যারা বিরত থাকবে, তারা সফল হবে। তাদের জন্য রয়েছে বিজয়ের পূর্বাভাস। মনে রেখো, চলমান সময়গুলো খুবই বিপদসংকুল। যাতে দৃষ্টি বিভ্রাট হয়ে যায় এবং প্রাণ কণ্ঠনালীতে উঠে আসে। অধিকাংশ মানুষই এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারে না। কিন্তু পাপ ও পরীক্ষার ঘনকালো আঁধার মুমিনদের কোনো ক্ষতিই করতে পারে না। কেননা, সংখ্যাধিক্য নয়; বরং ইমান হচ্ছে শক্তি ও প্রস্তুতির প্রকৃত মাপকাঠি। ইতিহাস সাক্ষী! ৮-১০ জন মানুষ ৩০-৪০ জনের দলকে পরাভূত করেছে এবং ৩০-৪০ জন মানুষ কয়েকশ মানুষের দলকে পরাজিত করে ফিরে এসেছে। মাত্র কয়েকজন গেরিলা বিশাল বাহিনীকে নাকানি-চুবানি খাইয়ে বিদায় করতে সক্ষম। তালুতের ক্ষুদ্র বাহিনী জালুতের বিশাল বাহিনীর কাছ থেকে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এটাই চির সত্য বাস্তবতা। কেবল বিশ্বাসীরাই এই বাস্তবতা অনুধাবন করতে সক্ষম। যে হৃদয় ওহির আলোয় আলোকিত, সে হৃদয়ে সদা বসন্ত নামে, ইমানের নুরে চকচক করে। সন্দেহ-সংশয়ের তিমির সেখানে ঠাঁই পায় না; বরং তা ক্রমশ মর্যাদা-সম্মানের পথে এগুতে থাকে। এই কিতাবে রয়েছে কাঙ্খিত বিজয় ছিনিয়ে আনার উপযুক্ত প্রজন্ম তৈরির অনুপ্রেরণা।