“এক বরকতময় কিতাব, যা আমি আপনার প্রতি অবতীর্ণ করেছি। যাতে মানুষ তার আয়াতসমূহ অনুধাবন করতে পারে এবং বোধসম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ উপদেশ গ্রহণ করতে পারে।” (সূরা সা’দ-২৯) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবা রাদিয়াল্লাহু আনহুমাকে যে পদ্ধতিতে কুরআন শিখিয়েছেন, হুবহু সেই পদ্ধতিতে কুরআন শেখা ও শেখানো আমাদের ওপর ফরয। আর সে পদ্ধতি ছিল কুরআনের ইলম তথা জ্ঞান ও কর্মের সু-সমন্বিত শিক্ষা পদ্ধতি। কুরআনের জ্ঞান অনুসারে কর্ম-চরিত্র শিক্ষা না দিয়ে শুধু আক্ষরিক ও শাব্দিক জ্ঞান কখনো শিক্ষা দেন নি।অতএব, কুরআন পড়া, বুঝা এবং সে অনুসারে নিজের কর্ম-চরিত্র গড়ে তোলার সমন্বিত শিক্ষা-ব্যবস্থাকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কুরআন শিক্ষা-পদ্ধতি বলা যেতে পারে এবং এ পদ্ধতির অনুসরণ করাই আমাদের জন্য ফরজ। “আব্দুর রহমান আস সুলামী থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, উসমান ইবনু আফফা, আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ এবং এ দু’জন ছাড়া আরো যাঁরা আমাদেরকে কুরআন শিখিয়েছেন, তাঁরা আমাদেরকে বলেছেন, তাঁরা যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে দশটি আয়াত শিখতেন, তখন এগুলোর মধ্যে যে জ্ঞান ও কর্ম রয়েছে তা শিক্ষা না করে তাঁরা অতিক্রম করতেন না। তাঁরা বলেন, আমরা কুরআন ও কুরআন অনুসারে কর্ম-চরিত্র গঠন একসাথে শিখেছি।” (আত্-তাবারী: ১/২৭, ইবনে কাছীর:২/১০) বইটি কুরআনের সূরা আল বাইয়্যিনাহ থেকে সূরা আন নাস ও সূরা আল ফাতিহা । এখানে পতিটি আয়াত িএর অর্থ বুঝার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করবে।