নবি ইউসুফ আ. ও জুলেখার ব্যাপারে সমাজে বহু বানোয়াট কথা প্রচলিত আছে৷ বাজারে কিংবা মাহফিলের প্যান্ডেলে নবি ইউসুফ ও জুলেখার প্রেম কাহিনী সম্বলিত যেসব বই পাওয়া যায়, সেসব বই পড়লে নবি ইউসুফ আলাইহিস সালাম-কে নবি মনে হয় না৷ মনে হয়, তিনি কোন সিনেমার হিরো৷ নায়ক৷ আর জুলেখা হলো নায়িকা৷ ভিলেন হলো—ইউসুফ আলাইহিস সালামের ভাইয়েরা৷ দু'জনের মধুর মিলন দিয়ে কাহিনীর সমাপ্ত শেষ হয়৷ ব্যস, একটা জমজমাট প্রেমের কাহিনী হয়ে গেল৷ আল্লাহ তায়ালা কি এ উদ্দেশ্য করে সূরা ইউসুফ নাযিল করেছেন (!) না৷ আদৌ না৷
সূরা ইউসুফ পাঠ করলে বুঝা যায় নবি ইউসুফ আলাইহিস সালাম কতটা সৎ ছিলেন৷ কিভাবে তিনি একের পর এক দুঃখ-দুর্দশায় পতিত হয়েছিলেন৷ জুলেখা যখন তাঁকে খারাপ কাজের জন্য আহ্বান করেছিলেন তিনি তখন আল্লাহকে ভয় করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন৷ মহান রাব্বি করিমের সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে তিনি পিছু হটেননি৷ নিজের চরিত্র পবিত্র রাখার জন্য তিনি কারাগারকে বেছে নিয়েছিলেন৷ কারাগারকে দাওয়াহর পাঠশালা বানিয়েছিলেন৷
নবি ইউসুফ আলাইহিস সালাম -এর জীবনী জানা একজন মুমিনের জন্য আবশ্যিক কর্তব্য৷ তাঁর জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা আমাদের জন্য আবশ্যক৷ আর নবি ইউসুফ আলাইহিস সালাম-কে পবিত্র কুরআনুল কারিম থেকেই জানতে হবে৷ শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে কুরআনের আলোকে৷ নবি ইউসুফ আলাইহিস সালামকে কুরআন থেকে জানতে আরবের প্রখ্যাত শাইখ মুহাম্মদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ রচনা করেছেন—'মিয়াতু ফায়িদাহ মিন সুরাতি ইউসুফ'৷ (সূরা ইউসুফ থেকে একশত শিক্ষা) নামক একটি পুস্তিকা৷ বক্ষমান পুস্তিকাটি সূরা ইউসুফের আলোকেই রচনা করেছেন৷ তারই ভাষান্তরিত রূপ হলো—'মনের রাজ্যে নবি ইউসুফ আ.৷'