চিরস্থায়ী জীবনযাপনের লালসাময় নিষিদ্ধ বৃক্ষের নিকট গমনের উপর ঐশ্বরিক নিষেধাজ্ঞা জারি দ্বারা ইতিহাসের সূচনা ঘটে। এই ইতিহাসের সমাপ্তি ঘটছে পৃথিবীর মঞ্চে আবির্ভূত নতুন অভিনেতার মাধ্যমে, যে পৃথিবী শাসনের অপ্রতিদ্বন্দ্বী উপনিবেশিক লালসা প্রদর্শন করে। ঐ নতুন অভিনেতা এক অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা ধারণ করেছে এবং ইতোমধ্যে সর্বদিকে ছড়িয়ে পড়া ইয়াজুজ ও মাজুজদের মাধ্যমে উক্ত ক্ষমতা দ্বারা সে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ হাতে নিয়েছে। এরপর সে ইহুদিদের জন্য পবিত্রভূমিকে মুক্ত করার মিশনে নামে এবং ঐশ্বরিক আজ্ঞাবলে পবিত্রভূমি থেকে দুই হাজার বছরের নির্বাসনের পর, পবিত্রভূমিতে তারা নিজেদের অধিকারের দাবি নিয়ে ফিরে আসে এবং পবিত্রভূমিতে ইসরাইলি রাষ্ট্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। ঐ রহস্যজনক নতুন অভিনেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘প্যাক্স আমেরিকা’-কে [আমেরিকান সাম্রাজ্যকে] ইসরাইলের ‘প্যাক্স জুডাইকা’ [ইহুদি সাম্রাজ্যের] মাধ্যমে প্রতিস্থাপিত করতে যাচ্ছে। ইসলামি এসক্যাটলজির আলোকবর্তিতাস্বরূপ এই গ্রন্থ উক্ত আজব ও রহস্যজনক নতুন অভিনেতাকে সনাক্ত করেছে, যে শেষ সময়ে পৃথিবীর মঞ্চে কেন্দ্রীয় চরিত্র দখল করে আছে এবং যে আধুনিক পশ্চিমা সভ্যতাকে জন্ম দিয়েছে – সে হচ্ছে: ভন্ড মসিহ দাজ্জাল।
আমরা কি কুর’আন ব্যবহার করে আধুনিক যুগকে উপলব্ধি ও ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবাে, নাকি ইতিহাসে যা কিছু ঘটে গেছে এবং আগামীকাল কি ঘটতে যাচ্ছে সেটার অন্ধকারেই রয়ে যাবাে। যেগুলাে আগের যুগে আমাদের সম্মানিত পণ্ডিতগণ লিখে গেছেন, সেগুলিকে একগুয়েভাবে আগলে ধরে রাখবাে, আর নিজেদের জন্য চিন্তা-ভাবনা করার কোন। জায়গাই রাখবাে না? এবং চোখ-কান বন্ধ করে কেবল অতীতের বুলি আওড়াবাে? না, কুর’আন এমন করতে আমাদেরকে কখনাে আদেশ দেয় না, উল্টো কুরআন আমাদেরকে চিন্তার দিগন্ত পাড়ি দিতেও উৎসাহিত করে।