আমাদের মুসলিমজাতির ইতিহাসে বরেণ্য মনীষীর অভাব নেই। মহান আল্লাহ তাআলা প্রতিযুগেই এমন কিছু মহান ব্যক্তিকে প্রেরণ করেছেন, যারা আপন কীর্তি ও কর্ম এবং যোগ্যতা ও কর্ম-অবদানের কারণে ইতিহাসের পাতায় স্মরণীয় হয়ে আছেন। তাঁরা আমাদের গৌরব, আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শন । তবে তাদের মাঝে এমন কিছু বরণীয় মহামনীষীও রয়েছেন, যাঁরা ব্যতিক্রমী প্রতিভা, অত্যুচ্চ যোগ্যতা, বহুমাত্রিক দক্ষতা, কালজয়ী অবদান এবং উম্মাহর কল্যাণে অনন্যসাধারণ অবদানের কারণে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। যাঁদের জীবন মহান পূর্বসূরিদের উত্তম নমুনা এবং উত্তরসূরিদের জন্য নমুনা-আদর্শ। যাঁদের জীবনের পুরোটাই হওয়া উচিত পাঠ্য ও অনুসৃত। যাঁরা নিজেদের নাম ইতিহাসের পাতায় লিখে গিয়েছেন চিরদিনের জন্য।
তাদেরই একজন হলেন সুলতান মুহাম্মাদ আল ফাতিহ ! মুহাম্মাদ আল ফাতিহের জীবন-ইতিহাস মানে কি শুধুই কনস্টান্টিনোপলের বিজয়-ইতিহাস?!
না, মুহাম্মাদ আল ফাতিহের জীবন-ইতিহাস মানে—
একজন আদর্শ রাষ্ট্রনায়কের ইতিহাস। একজন আদর্শ শাসকের ইতিহাস। একজন আদর্শ সমরনায়কের ইতিহাস। একজন আদর্শ রণবিশারদের ইতিহাস। একজন আদর্শ সমাজসংস্কারকের ইতিহাস। একজন আদর্শ পরিকল্পনাবিদের ইতিহাস। একজন আদর্শ জ্ঞানপিপাসুর ইতিহাস। একজন আদর্শ জ্ঞানপ্রেমী ও শিক্ষানুরাগীর ইতিহাস। একজন আদর্শ কূটনীতিবিদের ইতিহাস। একজন আদর্শ রাজনীতিবিদের ইতিহাস। একজন আদর্শ সংস্কৃতিপ্রেমীর ইতিহাস। একজন ............!
এবং একজন ‘আল্লাহভীরু’ পরম বিশ্বাসী বান্দার ইতিহাস। সর্বোপরি ‘নিমাল আমিরে’র ইতিহাস। মুহাম্মাদ আল ফাতিহের জীবন-ইতিহাসে আছে— একটি আদর্শ রাষ্ট্রব্যবস্থার বিবরণ। একটি আদর্শ জাতির বিবরণ। একটি আদর্শ যোদ্ধাবাহিনীর বিবরণ। একজন আদর্শ পিতার আদর্শ সন্তান প্রতিপালনের বিবরণ। দ্বীন ও দুনিয়ার সুষম সমন্বয়ের অনুকরণীয় বিবরণ। আর তাই আপনি যদি হয়ে থাকেন—
একজন পরিবারকর্তা, যিনি সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে চান। একজন রাজনীতিবিদ, যিনি আদর্শ সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেন। একজন ইতিহাসপ্রেমী, যিনি আদর্শ পুরুষদের জীবন-ইতিহাস জানতে চান। একজন উদ্যোক্তা, যিনি খুঁজছেন আদর্শ প্রতিষ্ঠান গড়ার গাইডলাইন। কিংবা একজন ‘স্বপ্নদেখা’ মুসলিম, যিনি হন্যে হয়ে খুঁজছেন অনুকরণীয় রোলমডেল।