উপন্যাসের প্রধান দুটি চরিত্রের একটি হচ্ছে- ধার্মিক পরিবারের মেয়ে নওশিন। যার বাবা একটা সৎ উদ্দেশ্য সামনে রেখে মেয়েকে মেডিকেল কলেজে পড়াচ্ছেন। তিনি চান, মেয়ে সবসময় ধর্মীয় ধ্যান-ধারণায় বেড়ে উঠুক। কিন্তু মেয়ের পছন্দ পশ্চিমা-সংস্কতি। ধর্মভীরু মানুষদের ওর কাছে কেমন যেন সেকেলে ও অনাধুনিক মনে হয়। ওর ধারণা এরা নারীদের অধীকারবঞ্চিত করতে চায়। এটা তো নওশিনের ধারণা। কিন্তু আসলেই কি ধর্মবিশ্বাসী মানুষগুলো এমন। নাকি এর বিপরীত?
অন্য চরিত্রটি হচ্ছে- তরুণ আলেম লেখক আহসান । অপসংস্কৃতির বিপরীত স্রােতধারা তৈরির লক্ষ্যে সে অবিরাম লিখে যায়। যার লেখা থেকে পাঠকরা খুঁজে পায় আলোর দিকে এগিয়ে যাবার অনুপ্রেরণা।
স্বনামধন্য এ লেখককেই পাত্র হিসেবে নওশিনের বাবা-মায়ের প্রথম পছন্দ। কিন্তু নওশিন? সে কি মেনে নেবে তদের পছন্দ ও বিশ্বাস? তার নিজের পছন্দ-অপছন্দগুলোরই বা কী হবে তাহলে?
উপন্যাসটি এমনই কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করাবে পাঠকদের।...