মানুষ শুধু নিজের জন্যই বাঁচে না। বরং একটি সার্থক জীবন ব্যয়িত হয় অন্যদের মুখে হাসি ফোটাবার জন্য। সত্য হলো, দুনিয়ার সকল মানুষের সুযোগ, সংগতি, মেধা ও সক্ষমতা এক নয়। কত কত মানুষ আপতিত হয়ে আছে কতরকম কষ্ট ও পরীক্ষায়। তা ছাড়া মানুষ হিসেবেও কেউ পূর্ণ ও সম্পূর্ণ নয়। তাই পৃথিবীতে প্রয়োজন পারস্পরিক সাহায্য ও সহানুভূতি। এবং বঞ্চিত ও অভাবীদের অধিকার প্রদান করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের তেমনটাই আদেশ করেন। এটাও একটি ইবাদত।
ড. রাগিব সারজানি বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে জগতের সামনে মুসলমানদের পারস্পরিক সাহায্য-সহানুভূতির বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন—অতি দরদ ও ব্যথার সাথে, চমৎকার বিন্যাস ও উদাহরণের সাথে। হৃদয়স্পর্শী বহু গল্প বা ঘটনার সাথে।
আশা করা যায়, গ্রন্থটি আমাদেরকে ব্যাপকভাবে জাগরিত করবে। পুণ্যবানদের বর্ণনা-স্পর্শে অন্তর হবে উন্নত বিগলিত এবং অনুপ্রাণিত। চোখের সামনে খুলে যাবে অতীত মুসলমানদের পারস্পরিক সাহায্য-সংহতি ও সহানুভূতির এক সুরভিত জগৎ। অসম্ভব কী! আমাদের মাঝেও ফিরে আসুক অতীতের সেই সোনালি বিভা—কল্যাণ-কর্মের নমুনা!