ক্রাইস্টচার্চের রক্তাক্ত ট্রাজেডিতে ব্যবহৃত অস্ত্রে সন্ত্রাসী ব্রেন্টন টারান্ট যেসব শব্দ, সংকেত ও বাক্য লিখেছে, দেখতে যদিও এগুলো কালো রঙের অস্ত্রের গায়ে সাদা হরফে লেখা এলোপাথাড়ি কিছু শব্দাক্ষর; কিন্তু গভীরভাবে লক্ষ করলে বুঝা যায়, এগুলো হাজার বছর আগের সেই ক্রুসেডের সযত্নে অঙ্কিত একটি মানচিত্র!
কথিত সভ্যতা শান্তি ও মানবতার ফেরিওয়ালা পশ্চিমাদের সামনে এভাবেই তাদের স্বজাতি ভাই তাদের চেপে রাখা ইতিহাস চিত্রিত করেছে। ঐতিহাসিকভাবে খ্রিষ্টধর্ম কতটা যে নৃশংস, পৈশাচিক ও বুনো এবং মানুষ হত্যার বৈধতা কীভাবে ইতিহাস ধরে ধরে তারা লালন করে আসছে, তা আজ সে পৃথিবীবাসীর সামনে খোলাসা করে দিয়েছে।
এজন্য বলতে হয়, এ হামলা অবশ্যই সংঘবদ্ধ খ্রিষ্টীয় শ্বেত সন্ত্রাসীদের দূরদর্শী পরিকল্পনার অংশবিশেষ। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছে কোনো ক্রুসেডীয় সংঘটনের যোগসাজশ। ক্রুসেডের নামে একাদশ শতক থেকে শুরু হওয়া শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ধর্মের নামে মানুষ খুনের যে বৈধতা জারি হয়েছিল, এ হত্যাকাণ্ড সেই ক্রুসেডেরই নতুন কোনো পদধ্বনি মাত্র! বক্ষ্যমাণ বইটি এই বিষয়গুলোকে আরও সুদৃঢ়ভাবে প্রমাণ করবে পাঠকদের সামনে।