ইমাম ইবনুল-কাইয়্যিম রহ. বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিজেকে ভালোভাবে চিনতে পেরেছে, অন্যের দোষ-ত্রুটি বাদ দিয়ে নিজের সংশোধনে লেগে গেছে।’ [আল ফাওয়াইদ: ৮০]
অন্তরে যখন কারো প্রতি ঘৃণা বেড়ে যায়, রাগ যখন ক্ষোভে পরিণত হয়, তখন না চাইতেই মুখ ফোঁসকে বেরিয়ে যায় ব্যক্তির সমালোচনা। এভাবেই গীবতের সূচনা হয়। নেক ব্যক্তি স্বীয় পদস্খলনের ব্যাপারে সচেতন থাকে, ফলে সে তাৎক্ষণিক তাওবাহ করে নেয়। পক্ষান্তরে পাপি ব্যক্তি নানান অজুহাতে গীবতকে বৈধ প্রমাণে অপচেষ্টা করে। আর এমন ব্যক্তির সংখ্যাই আমাদের মধ্যে বেশি।
গুনাহ পরিত্যাগের ভিতর সবচেয়ে কঠিন হলো গীবত পরিত্যাগ করা। এমনকি বহু দ্বীনদার ব্যক্তিও এই পাপ থেকে মুক্ত নয়। এই জন্য রাসূল ﷺ বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ-দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।’ [বুখারী, মুসলিম]
এই জন্য উপমহাদেশের বিখ্যাত আলিম মুফতি তাকি উসমানি রচনা করেছেন ‘গীবত ও পরদিন্দা’ নামক অসাধারণ একটি পুস্তিকা। এতে গীবতের সংজ্ঞা, ধরণ, ভুল ধারণাগুলো অপনোদন, গীবত থেকে বেঁচে থাকার নানান উপায়-কৌশল আলোচনা করেছেন সবিস্তারে। কুরআন ও হাদীস আলোকে এবং আকাবিরদের জীবনী থেকে প্রাক্টিক্যাল শিক্ষাও এতে যুক্ত করে দিয়েছে সকলের সুবিধার্থে।