“যেদিন উপকারে আসবে না কোনো সম্পদ, কোনো সন্তানসন্তুতি।” (সূরা শুয়ারা, ৮৮)
সন্তান হচ্ছে বাবা মায়ের সবচেয়ে আপনজন। তাই দেখা যায় রক্ষণাবেক্ষণ, দেখভাল—সবকিছুতে সন্তানরাই অগ্রাধিকার পায়। আর কিয়ামতের দিন সেই সন্তানসন্তুতি-ই যদি উপকারে না আসে, তাহলে আর কে উপকার করবে? কে কাজে আসবে? তাদের চেয়ে আপন আর কে আছে? (দ্রষ্টব্য: ফাতহুল ক্বদীর, আশ-শাওকানী রহ.)
“(কেবল) সে ব্যতীত যে আসবে ‘ক্বলবে সালীম'(সুস্থ অন্তর) নিয়ে।” (সূরা শুয়ারা, ৮৯)
তো প্রশ্ন হচ্ছে, ক্বলবু সালীম বা সুস্থ অন্তর কী? কী সেই অন্তর যা ছাড়া আল্লাহ্ কোনো কিছুই গ্রহণ করবেন না?
ইবনুল কায়্যিম রহ. এই সবগুলো মণি মুক্তোকে একত্র করে বলেছেন, “একজন মুসলিমের অন্তর ততক্ষণ পর্যন্ত ক্বলবু সালীম হতে পারবে না, যতক্ষণ না ৫টি রোগ থেকে মুক্ত হয়:
(১) এমন সকল শিরক থেকে মুক্ত হওয়া যা তাওহীদ নষ্ট করে দেয়।
(২) এমন সকল বিদআত থেকে মুক্ত হওয়া যা সুন্নাহ নষ্ট করে দেয়।
(৩) এমন সকল হারাম চাহিদা থেকে মুক্ত হওয়া যা আল্লাহ ও রসূলের নির্দেশের বিরুদ্ধে যায়।
(৪) এমন সকল গাফলতি থেকে মুক্ত হওয়া যা আল্লাহর যিকির নষ্ট করে দেয়।
(৫) এমন সকল প্রবৃত্তি থেকে মুক্ত হওয়া যা ঈমানী দৃঢ়তা এবং একনিষ্ঠতা নষ্ট করে দেয়।
অন্তরের এমন অসংখ্য রোগ বালাই এবং সেসবের চিকিৎসা নিয়ে রচিত বক্ষ্যমাণ কিতাবটি।