নিঃসন্দেহে মানুষের অন্তর হচ্ছে তার সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের বাদশাহ। অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হচ্ছে উক্ত বাদশাহর অধীনস্ত সৈন্য-সামন্ত। সুতরা, বাদশাহ যতক্ষণ ঠিক থাকবে, সৈন্য-সামন্তও ঠিক থাকবে।
পবিত্র হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, নুমান ইবনে বাশীর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম ﷺ ইরশাদ করেছেন
জেনে রেখো! শরীরের মধ্যে একটি গোশতের টুকরা আছে; তা যখন ঠিক হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন ঠিক হয়ে যায়। আর তা যখন খারাপ হয়ে যায়, গোটা শরীরই তখন খারাপ হয়ে যায়। জেনে রেখো! সে গোশতের টুকরাটি হচ্ছে ক্বলব তথা অন্তর। [সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫২, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১৭৮]
মানুষের অন্তর হচ্ছে সুউচ্চ ও সুরক্ষিত দুর্গের মতো। তার রয়েছে অনেকগুলো দরজা ও পবেশপথ। আর শয়তান হচ্ছে অপেক্ষমান সুযোগ-সন্ধানী শত্রæর মতো। সে সর্বদা সর্বাত্মক চেষ্টা করে উক্ত দুর্গে প্রবেশ করতে। যেন সে তার নিয়ন্ত্রণ ও কর্তৃত্ব নিজের হাতে নিয়ে নিতে পারে। সেই দুর্গের রক্ষণাবেক্ষণ ও হেফাজত কোনোভাবেই সম্ভব নয় তার দরজা ও প্রবেশপথসমূহে পাহাদারি ব্যতীত। সুতরাং, একজন জ্ঞানী ও বুদ্ধিমানের জন্য আবশ্যক হচ্ছে, সেইসব দরজা ও প্রবেশপথের পরিচয় লাভ করা। যেন সে তার অন্তরে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা সুযোগ-সন্ধানী শয়তানকে বাধা দিতে পারে; শয়তান যেন তার অন্তরে কোনোভাবেই প্রবেশ করতে না পারে। যেন তাতে কোনো ফাসাদ ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে।