ঝগড়া-বিবাদ খুবই খারাপ কাজ। অতি মারাত্মক এক ব্যাধি। যা মানুষের অন্তরকে রুক্ষ্ম-কঠিন করে তোলে। এর অনিষ্টতা, ক্ষতি ও অকল্যাণের গুরুতরতার কারণেই উলামায়ে কেরাম এ নিয়ে বিস্তর আলোচনা করেছেন। ঝগড়া-বিবাদ এমনই এক স্বভাব, যা সালাফে সালেহীন খুবই অপছন্দ করতেন। এ থেকে তাঁরা সর্বদা অনেক অনেক দূরে অবস্থান করতেন।
আবদুল্লাহ ইবনে আমর বলেন, কোনো কুরআনের বাহকের জন্য, অর্থাৎ যার ভিতর কুরআনের ইলম আছে এমন কারও জন্য উচিত নয় তিনি তার সঙ্গে ঝগড়া করবেন, যে তার সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হয়; কোনো মূর্খ তার সঙ্গে মূর্খের আচরণ করলে তিনিও তার সঙ্গে অনুরূপ আচরণ করবেন। জ্ঞানী ব্যক্তির জন্য উচিত হচ্ছে ঝগড়া-বিবাদ পরিত্যাগ করা। [তাফসীরে কুরতুবী : ১/৫৩]
ইবরাহীম নাখায়ী বলেন, সালাফে সালেহী ঝগড়া-বিবাদকে অধিক অপছন্দ করতেন। [তাফসীরে ইবনে কাসীর : ১/৩১৯]
অতএব
* ঝগড়া-বিবাদ মানে কী?
* কী কারণে উলামায়ে কেরাম ঝগড়া-বিবাদকে অত্যন্ত অপছন্দ করেন?
* পছন্দনীয় বিবাদ ও অপছন্দনীয় বিবাদের মাঝে পার্থক্য কী?
* প্রত্যেক প্রকারের উদাহরণ কী?
* ঝগড়া-বিবাদ কি মানুষের স্বভাবজাত বিষয় না এটা তাদের উপার্জিত?
এ জাতীয় আরও অনেক প্রশ্নের উত্তরই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করেছি আপনার হাতের এ বইটিতে।