মেয়েটি ছিল ধনীর দুলালিনী। সােনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নিয়েছিল। সে। বাপের ঘরে কোনকিছুরই অভাব হয়নি তার। হরেক রকম খাবার আর ফলমূলাদিতে ভরা থাকত তাদের দস্তরখান। কোনকিছুতে তার ধরাছোঁয়া করতে হতােনা। যখন সে সতেরাে বছর বয়সে পা রাখল, যৌবন যেন তার উপছে পড়তে শুরু করল! যেমন ছিল সে অনিন্দ্যসুন্দরী; তেমন ছিল সে বুদ্ধিমতি। জ্ঞানী-গুণবতী ও শিক্ষিতা। কিন্তু এই মেয়েরই বিয়ে হয়েছিল একটি হাড়কিপ্টে পরিবারে। পরিবারে বাস করত মানুষ নামের কতগুলাে অমানুষ! অমানুষগুলাের অবর্ণনীয় নির্যাতনে প্রতিদিন শুধু চোখের পানিতে বালিশ ভেজাততা। বেশি কষ্ট দিত স্বামীর বিয়েবঞ্চিতা, চামড়াকুঞ্চিতা বুড়ি ফুফুটা! বুড়িটা কোমলমতি মেয়েটার জন্য ছিল সাক্ষাত ডাইনি! পিশাচিনী! কান্নাই ছিল মেয়েটির একান্ত আপন। নিজ বাপ-মাকেও কিছু বলার সুযােগ পেতােনা। বুকের কষ্ট বুকেই চাপা দিয়ে রাখত। দশমাসের সন্তানসম্ভবা অবস্থায়ই তাকে অমানুষগুলাে ঘর থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল! মামলা করেও বিচার পায়নি মেয়েটি! কিন্তু মেয়েটির বাবা। আল্লাহর আদালতে মামলা টুকে দিলেন। ফলে জালিম স্বামীর পরিবারের। অমানুষগুলাের কী যে একটা পরিণতি হয়েছিল, তা ভাবতেই ভয়ে গা শিউরে উঠে! হ্যাঁ, এরকম একটি শিক্ষণীয় ও লােমহর্ষক কাহিনী দিয়ে সাজিয়েছেন শাইখ আলী তানতাবী রহ. তাঁর কিসসাতুন কামিলাতুন লাম মুআল্লিফহা বাশার’ নামক ছােট্ট কিতাবটি। সে কিতাবেরই অনুবাদ “এ গল্প কোন মানবের নয়”।