বসন্ত এসেছে। পত্র-পল্লব ফিরে পেয়েছে প্রাণ, চারপাশে ফুলের ঘ্রাণ আর পাখির গান। শীতের নিষ্প্রাণতায় কদিন আগেই মৃতপ্রায় হয়ে যাওয়া প্রকৃতি এখন সজীবতায় মুখর। বসন্তের এই প্রাণ আমাদের প্রাণেও কি সঞ্চার হতে পারে? হ্যাঁ, পারে। আল্লাহর রাসূলের (সা) কাছে ‘হৃদয়ের বসন্ত’ ছিলো কুরআন। আমাদের চিরচেনা বসন্তের আবহ সামনে রেখে হৃদয়েও বসন্তের আবাহন অনুভব করা যায় কিভাবে? নিসর্গের গল্প শোনাতে শোনাতে কুরআনের বসন্তকে ছোঁয়ার প্রণোদনা দিতে আপনার কাছে এসেছে আব্দুল্লাহ মাহমুদ নজীবের ব্যতিক্রমী গদ্যরচনা ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’। টুপটাপ বৃষ্টিতে আপনি কী করেন? মায়ের হাতে রান্না করা গরম খিচুড়ি পাতে নেন, কিংবা গুণগুণ করে কোনো প্রিয় গানের কলি গলায় তোলেন। কিন্তু এই বৃষ্টিতে মহাজাগতিক সঙ্গীতের যে কলরব ধ্বনিত হয়, তা কি শুনতে পান? আপনাকে এই সঙ্গীতের স্পন্দন চিনিয়ে দিতে এসেছে ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’। তপ্ত রোদের উত্তাপে নাভিশ্বাস ওঠা পৃথিবী যেমন পুড়তে থাকে, কখনো কখনো জীবনের জমিনও চৈতালি খরায় সবুজতা হারাতে থাকে। আপনার হারিয়ে যাওয়া সবুজতাকে খুঁজে নেওয়ার অভিযানে বেরোবার সাহস যোগাতে চায় ‘বৃষ্টিমুখর রৌদ্রমুখর’। বইটি আপনার নাসারন্ধ্রে কতেক পার্থিব ফুলের সুবাস চিনিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হচ্ছে না, জান্নাতের অপার্থিব সুবাসে মোহিত হবার মন্ত্রণাও সমানতালে দিয়ে যাবে।