ইমাম আবু হানিফা রহ.-এর রেশমি কাপড়ের কাজ করার একটি বড় ঘর ছিল। তাঁর কাছে অনেক পোশাক শ্রমিক ও কারিগর থাকত। অর্থাৎ তিনিও প্রায় ব্যস্ত ছিলেন। ইবনুল মুবারক রহ.-ও একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। আবার তিনি ফিকহ, হাদীস ও জুহদের ইমামও ছিলেন।
হামজা ইবনে হাবিব আজ-জাইয়্যাত রহ. । তিনি সাত কারিদের একজন ছিলেন। তিনি কুফা থেকে হালওয়ানে তেল আমদানি করতেন। ইমাম নববি রহ. তাঁর বাবাকে দোকানের কাজে সহায়তা করতেন। এই কাজ তাঁকে সে অল্প বয়সেও পবিত্র কুরআন হিফয করায় বাধা দিতে পারেনি।
ওপরে যাদের উদ্বৃতি দেয়া হয়েছে, তাঁরা সবাই মানুষ ছিলেন, যান্ত্রিক রোবট নয়। তাদের পরিবার ছিল, সন্ন্যাসীর জীবন নয়। দুনিয়াবি প্রয়োজন ছিল, পেটের ক্ষুধা ছিল, পরিবারের চাহিদা ছিল। সব-ই তারা সাধ্য মতো পূরণ করতেন। তথাপি প্রায় সকলেই হয়েছেন যুগশ্রেষ্ঠ আলিম। কেউ বলতে পারে, ‘ভাই এগুলো এ্যাক্সেপশনাল কেইস।’ কিন্তু ইসলামের ইতিহাস বলে, মুসলিমরা এরকমই কর্মমুখোর ছিল। তারা সময়ের কদর করতেন, তাই সময় তাদের নিকট কল্যাণের অজস্র বারিধারা সহ হাজির হয়েছে। তাঁরা সত্যিকারের ইলমপিয়াসু ছিলেন, ইলমের ওপর আমল করতেন, তাই ইলম তাদের উভয় জাহানে করেছে সম্মানিত।
সময় ব্যবস্থাপনা স্রেফ অমুসলিমদের জন্যই না, বরং আমাদের নেককার পূর্বপুরুষদেরও জীবনের একটি অংশ ছিল। তারা সময় ব্যবস্থাপনা শিখতেন, এবং সেখাতেন। সেই লক্ষ্য থেকেই ইসমাইল কামদার কুরআন সুন্নাহর আলোকে অসাধারণ এই বইটি বই রচনা করেছেন। এতে তিনি সময় ব্যবস্থাপনা নিয়ে কার্যকরী নানান কৌশল আলোচনা করেছেন এবং রকমারি রুটিন তৈরির দ্বারা পাঠকের জন্য অত্যন্ত সহজ করে দেয়া হয়েছে।