হযরত আয়েশা রাযি.-এঁর প্রাথমিক অবস্থা, শিক্ষা-দীক্ষা, সামাজিক ও দাম্পত্য জীবন, সৎ ছেলেমেয়ে ও সতিনদের প্রতি সদাচার, ইফকের ঘটনা, সংস্কারমূলক কার্যক্রম, কুরআনে ব্যূৎপত্তি, মাসাইল-দক্ষতা, ইজতিহাদ-ক্ষমতা, হাদীসে নববীর অগাধ জ্ঞান, ফিকহ ও কিয়াসে অসাধারণ প্রতিভা, চিকিৎসা-শাস্ত্রে পারদর্শিতা, বক্তৃতা ও কাব্যে মুনশিয়ানা, ফতওয়া প্রদানে পারঙ্গমতা, জগতের নারী সমাজের প্রতি তাঁর অবদান ইত্যাদি। এ-ছাড়াও আরও অনেক কিছু উঠে এসেছে অনিন্দ্যসুন্দর বিন্যাসে, গবেষণামূলক ও বিশ্লেষণধর্মী কায়দায়; যার গুরুত্ব সে-যুগে এ-যুগে সমানভাবে অপরিসীম।
উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রাযি.-এঁর ব্যাপারে বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত একটি বিষয়— তাঁর বয়স। অর্থাৎ যখন তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পবিত্র জীবনসঙ্গিনীর ভূমিকায় আবির্ভূত হন এবং উম্মুল মুমিনীনের তাজ মস্তকে ধারণ করেন তখন তাঁর বয়স কত ছিল? এ এমন এক প্রশ্ন, যার উত্তরে অনেকে অনেক কিছু লিখেছেন। আল্লামা সাইয়্যেদ সুলাইমান নদভী রাহ. এ-বিষয়টিকে বিশেষভাবে আলোচনায় এনেছেন এবং এ-প্রসঙ্গে যত আপত্তি উত্থাপিত হয়েছে এবং হতে পারে, বলিষ্ঠ যুক্তিপ্রমাণের ভিত্তিতে তার নিরসন করেছেন। বইটি প্রত্যেকের পড়া উচিৎ। বিশেষ করে নারী সমাজ বইটি পড়ে উপকৃত হবেন সবচেয়ে বেশি। এর পাতায় পাতায় গচ্ছিত আছে দীন ও শরীয়তের অমূল্য রত্নসম্ভার।