এ সফরনামার আসল সৌন্দর্য ও প্রকৃত মর্যাদার বিষয় দু’টি :
এক. শিল্পকুশলতা। লেখক বইয়ে সাবলীলতার পূর্ণ সৌন্দর্য সফলভাবে তুলে ধরতে পেরেছেন—সহজ শব্দ, সাবলীল বাক্যগঠন এরপর কাব্যিক কল্পনার মিশ্রণ। এজন্য সাহিত্যের আঙ্গিকে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
দুই. সেসব উপলব্ধি ও অভিব্যক্তি, যা কিতাবের ছত্রে ছত্রে পরিলক্ষিত হয়। মনে হয়, অনুভূতিপ্রবণ লেখক কাগজের বুকে হৃদয় নিংড়ে সবটাই পাঠকের সামনে পরিবেশন করে দিয়েছেন। আমি এটাও হিজায সফরেরই বরকত মনে করি, তার কলম দিলের দোভাষীর ভূমিকা পালন করেছে।
একজন হাজী হজের সফরে শুধুই আল্লাহর জন্য হয়ে যান। হজের সফরে মাওলানা দরিয়াবাদীও হয়ে গিয়েছিলেন আল্লাহর জন্য। বইয়ের পাতায় পাতায় আমরা এর নমুনা পাই। আল্লাহ ও নবীপ্রেমের পূর্ণ ছবি পাতায় পাতায় চিত্রিত হয়েছে। অনেক সফরনামার লেখক ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে, ইনিয়ে-বিনিয়ে নিজের কৃতিত্ব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেন। মাওলানা দরিয়াবাদীর সফরনামাতে এ বিষয়টি বিলকুল অনুপস্থিত।
অনুবাদের গুণগত মান সম্পর্কে বাংলা ভাষার সাহিত্যিকরাই সঠিক মন্তব্য করবেন। তবে আমার কাছে ভাষাটা প্রাঞ্জল ও সাবলীল মনে হয়েছে। আরও দু-একজন ভালো লেখক আমাকে বলেছেন, এ অনুবাদকের ভাষা সাবলীল ও সুন্দর। যে পাঠক জানে না এটা মূলত উর্দুতে লেখা তার কাছে এটি হয়তো অনূদিত বই মনে হবে না। আমার মতে একজন অনুবাদকের এখানেই বড় কৃতিত্ব।