বাচ্চাদের অসৎ সঙ্গ থেকে দূরে রাখাে। সব সময় খেয়াল রেখাে, তার তবিয়ত যেন অন্য কোনাে দিকে আকৃষ্ট না হয়। জিদ ধরলে তার সামনে নতি স্বীকার করাে না। আর চাইবার আগেই তার ইচ্ছা পূরণ করে দাও, যাতে তার ভেতর জিদ সৃষ্টি না হয়। তার সঙ্গে আচরণে-পরিস্থিতির দিকে এতটা খেয়াল রাখবে, যাতে তােমার থেকে নির্ভয় না হয়ে যায়। তােমার ইশারাই যেন যথেষ্ট হয়। খুব বেশি মারধাের করবে না কিংবা বকবে না। এতে সে বেহায়া হয়ে যাবে। ব্যস! ইশারা-ইঙ্গিতের সাহায্য গ্রহণ করাে। সব সময় বাঁকা কথা বলাে না। ছােটখাটো দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে তাকে বুঝিয়ে বলাে। (এটা করতে নেই কিংবা এ ধরনের বলতে নেই।) ক্রোধান্বিত অবস্থায় এমন বাজে ও বেহুদা কথা বলাে না, যাতে সারা জীবন তােমাকে পস্তাতে হয়। তার কথা শুনে কিংবা তার পক্ষ হয়ে কাউকে গাল-মন্দ করাে না।
শিশুকে প্রহার করার পরক্ষণেই হাসবে না এবং তার সঙ্গে খুব বেশি খােলামেলাভাবে আচরণ করাে না। এতে তােমার প্রতি তার যে গুরুত্ববােধ ও সভ্ৰমবােধ ছিল তা উঠে যাবে। তুমি যে তাকে ভালােবাস তা তাকে বুঝাও, কিন্তু তুমি যে তার প্রতি দুর্বল তা তার সামনে প্রকাশ করাে না। সমস্ত ছেলে-মেয়েকেই এক নজর ও এক দৃষ্টিতে দেখবে। একের ওপর অন্যকে অগ্রাধিকার কিংবা প্রাধান্য দেবে না। এতে প্রাধান্যপ্রাপ্ত শিশুটি অন্যদের ছােট ও অবজ্ঞা করতে শিখবে। বাচ্চারা যা চাইবে তাই পূরণ করা বড় রকমের ভুল। একে ভালােবাসা বলে না, বরং এ শত্রুতারই নামান্তর।