একরাতে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের অবস্থা জানতে বাইরে বের হলেন। যখন আবূ বকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লাহু আনহুর গূহের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন শুনতে পেলেন যে, তিনি নামাযে হালকা আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করছেন।এর কিছুক্ষণ পর প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দূষ্টি উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুর উপর পড়ল। দেখলেন, তিনি নামাযে উচ্চৈস্বরে কুরআন তিলাওয়াত করছেন।যখন তারা দুজন দিনে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দরবারে উপস্থিত হলেন, তখন প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করলেন, হে আবূ বকর !
গতরাতে আমি তোমার গূহের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম, তুমি নামাযে খুব হালকা আওয়াজে কুরআন তিলাওয়াত করছ। এর কারণ কী? উত্তরে আবূ বকর সিদ্দীক রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি ঐ সত্তাকে শোনাচ্ছিলাম যিনি নীরবে পাঠ করলেও শোনেন। এবার প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত উমর রাযিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, হে উমর ! গতরাতে আমি তোমার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখলাম, তুমি নামাযে উচ্চৈস্বর কুরআন তিলাওয়াত করছ। এর কারণ কী? উত্তরে উমর রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি ঘুমন্ত ব্যক্তিদেরকে জাগ্রত করছিলাম এবং শয়তানকে বিতারিত করছিলাম। উভয়ের কথা শুনে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনন্দ প্রকাশ করলেন এবং উভয়কে লক্ষ্য করে বললেন, তোমরা উভয়েই উত্তম কাজ করেছ। এমন কাজের ফল নিয়ত অনুযায়ী হয়ে থাকে। তবে তোমরা মধ্যমপন্থা অবলম্বন কর।