আমেরিকা বর্তমান বিশ্বের অপ্রতিদ্বন্দ্বী মােড়ল! পুরাে পৃথিবী আমেরিকার ইশারায় ওঠবস করে—এমনটাই বিশ্বাস সাধারণ মানুষের। আর আমেরিকা মনে করে তাদের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলাম ও মুসলমান। তাই আমেরিকাকে দাপটের সঙ্গে বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে ইসলামকে ঠেকাতে হবে, দমিয়ে রাখতে হবে মুসলিম জাতিকে। সুতরাং নারীস্বাধীনতা ও জঙ্গিবাদের নাটক সাজিয়ে মানুষের মনে ভয় সৃষ্টি করাে ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে। গণতন্ত্রের গান গেয়ে গেয়ে মুসলমান খুন করাে আফগানিস্তানে, ইরাকে, মিশরে, সমূহ আরব অঞ্চলে। ইসরায়েলকে বাঁচিয়ে রাখাে মুসলমানদের হত্যা করবার জন্যে। আমেরিকা আজ সাড়া পৃথিবীর ত্রাস। আল্লাহর কুদরত! যে আমেরিকা ইসলাম ও মুসলিম জাতিকে সমূলে ধ্বংস করার লক্ষ্যে নিয়মিত যুদ্ধ করে যাচ্ছে দেশে দেশে—সে আমেরিকাতেই দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে নওমুসলিমদের আলােকিত কাফেলা। সবিশেষ টুইনটাওয়ারের জঘন্য নাটক যেন এই কাফেলাকে দান করেছে বাতাসের গতি। বিশেষ করে নারীবাদের নাম করে যখন প্রচার করা হচ্ছে ইসলাম নারীদের তাদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে রেখেছে—তখন এক জরিপে দেখা গেছে, আমেরিকায় প্রতি একজন পুরুষ নওমুসলিমের বিপরীতে চারজন নারী ইসলাম কবুল করছেন। কালেভদ্রে তাদের কারও কারও ইসলাম কবুলের ঘটনা মিডিয়াতেও প্রকাশিত হচ্ছে। তবে তা বাস্তবতার তুলনায় একেবারেই অনুল্লেখযােগ্য।
বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে এমন কয়েকজন ভাগ্যবানের ভাগ্যবদলের গল্প পত্রস্থ হয়েছে। দুই. বইয়ে পত্রস্থ কাহিনীগুলাের কিছু আমি বিভিন্ন পত্রিকার সূত্রে লিখেছি সাপ্তাহিক মুসলিম জাহানে চাকরিরত কালে। পরে আমেরিকা-প্রবাসী ড. ইমতিয়াজ আহমদ সাহেবের একটা ক্ষুদ্র পুস্তিকা হাতে পাই একই বিষয়ে। সেটাও অনুবাদ করি এবং যথারীতি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সমগােত্রীয় বলে এখানে একই মলাটে গ্রন্থবদ্ধ করেছি আমরা সবগুলাে লেখা। পার্থক্য করার জন্যে ড. ইমতিয়াজ সাহেবের লেখাগুলাে প্রথম অধ্যায়ে রেখেছি আর অন্যগুলাে দ্বিতীয় অধ্যায়ে। রাহনুমা এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশ করছে দীর্ঘ বিরতির পর । আল্লাহ এর লেখক প্রকাশকসহ সহযােগী সকলকে নওমুসলিমদের মতাে তাজা ঈমান নসীব করুন। আমীন।