আল্লাহর আদেশ হচ্ছে, “হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার কাছে যা কিছু নাযিল করা হয়েছে তা মানুষের কাছে পৌঁছে দাও। যদি তুমি তা না করো তাহলে তুমি তাঁর রিসালাতের হক আদায় করলে না। মানুষের ক্ষতি থেকে আল্লাহ তোমাকে রক্ষা করবেন।” (সূরা মায়েদা, আয়াত : ৬৭)
অতঃপর রাসূল (সা) নির্দেশ দিলেন, “আমার পক্ষ থেকে মানুষের নিকট পৌঁছাতে থাকো, যদিও একটি মাত্র আয়াত হয়”। বিদায় হজ্জের ভাষণে নবী (সা) বলেন, “বলো, আমি কি তোমাদের কাছে আল্লাহর বাণী পৌঁছে দিয়েছি? সবাই বললো, হে রাসূলুল্লাহ! হ্যাঁ। তিনি বললেন, তাহলে যারা এখানে উপস্থিত আছে তারা যেন অনুপস্থিত লোকদের কাছে এ বাণী পৌঁছে দেয়। বুখারী শরীফে হযরত সাহল ইবনে সাদ (রা) হতে বর্ণিত, খায়বার যুদ্ধে রাসূল (সা) হযরত আলীর হাতে পতাকা দিয়ে নির্দেশ দিলেন যে, তুমি সোজা এগিয়ে যেতে থাকো এবং তাদের আঙ্গিনায় পৌঁছে তাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দাও। তারা ইসলাম গ্রহণ করলে ইসলামের বিধান অনুযায়ী তাদের ওপর আল্লাহর প্রতি যে দায়িত্ব কর্তব্য আছে তাও জানিয়ে দাও। আল্লাহর কসম, তোমার দ্বারা যদি একটি মানুষও হেদায়েত প্রাপ্ত হয় তবে তা হবে তোমার জন্য লাল রংয়ের উট পাওয়ার চেয়েও উত্তম।” কুরআন হাদীসের উপরোক্ত ঘোষণা থেকে দ্বীন ইসলাম প্রচারের গুরুত্ব ও ফজিলত জানা যায়।
ইসলামের বিধান নিজে মানা যেমন দায়িত্ব, তেমনি অন্যের কাছে পৌঁছে দেয়াও কর্তব্য। প্রতিটি মুমিন হৃদয়ে দ্বীনের বাণী প্রচারের পেরেশানী থাকতে হবে। এমন অনুভূতি থেকেই এই উদ্যোগ।