পবিত্র কুরআনুল কারীম মানবজাতির সবচেয়ে বড় হিদায়াতের উৎস। এই কিতাব অন্ধকারচ্ছন্ন জাতিকে গাঢ় কালো আঁধার থেকে বের করে এনেছে আলোর পথে; তাদেরকে দেখিয়েছে সঠিক রাস্তা, চিনিয়েছে সফলতার মঞ্জিল; স্থাপন করেছে বান্দা ও আল্লাহর মাঝে অন্য রকম এক সম্পর্ক—এটি উভয়ের মধ্যকার সেতুবন্ধন; এর মাধ্যম অবলম্বন করেই একজন দূরাগত বান্দা মুহূর্তেই চলে যেতে পারে তাঁর প্রিয়তম রবের সান্নিধ্যে; তাই কুরআনুল কারীম মানবজাতির জন্য অন্য রকম এক নিয়ামত। এই কিতাব নাযিল হয়েছিলো তিলাওয়াত ও তাদাব্বুর তথা চিন্তা-ভাবনা করার জন্য; কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, আমরা বর্তমান সময়ে এসে একে কেবলই তিলাওয়াতের কিতাব বানিয়ে ফেলেছি। শুধু তিলাওয়াত করার দ্বারাই কুরআনের যথাযথ হক আদায় হচ্ছে বলে ধরে নিচ্ছি—যা অনেক বড় একটি ভুল ধারণা; অথচ এই কিতাব যেমন তিলাওয়াতের, তেমনি তাদাব্বুরেরও। আরবের খ্যাতিমান আলিম শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ এই লক্ষ্য পূরণের জন্যই রচনা করেছেন এই পুস্তিকাটি যার ভাষান্তরিত রূপ ‘যিকিরে-ফিকিরে কুরআন’।