বিশ্বের সর্বজন শ্রদ্ধেয় দায়ী, আল্লামা সায়্যেদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ.কে নিয়ে লিখেছেন বর্তমান বিশ্বের একজন খ্যাতনামা আলেম আল্লাম ইউসুফ আল কারযাবী। তিনি এই বইতে ২০টি স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেছেন যার উপর আবুল হাসান আলী নদবী (রহঃ) কাজ করেছেন। সারাটি জীবন তিনি এর ওপর ব্যয় করেছেন।
স্তম্ভগুলো হলো:
১। বস্তুবাদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গভীর ঈমান।
২। আকল বুদ্ধি নয়, শরীয়তে ওহীই হলো প্রধান ও মূল।
৩। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের সাথে গভীর সম্পর্ক।
৪। হাদীস ও সীরাতে নববী’র সাথে গভীর সম্পর্ক।
৫। আধ্যাত্মিকতার জ্বলন্ত অঙ্গারকে উত্তাপময় রাখা।
৬। বিনাশ নয়-নির্মাণ, বিভক্তি নয়-ঐক্য।
৭। আল্লাহর পথের জিহাদে প্রাণ সঞ্চার।
৮। ইসলামী ইতিহাস ও বীরত্বগাথার পুনর্জাগরণ।
৯। পাশ্চাত্য মতবাদ ও ব্স্তুবাদী সভ্যতার সমালোচনা।
১০। জাতীয়তাবাদী মতবাদ ও জাহিলী সাম্প্রদায়িকতার সমালোচনা।
১১। খতমে নবুওয়াত আকিদার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান ও কাদিয়ানী ফেতনার মুকাবিলা।
১২। বুদ্ধিবৃত্তিক ধস প্রতিরোধ।
১৩। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় মুসলিম উম্মাহর ভূমিকা ও অবদানের প্রতি গুরুত্ব প্রদান।
১৪। সাহাবায়ে কেরামের মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব এবং তাঁদের দ্বীনি অবস্থান।
১৫। ফিলিস্তিনি সমস্যার সমাধানের পথ নির্দেশ এবং ইহুদিদের কবল থেকেতার মুক্তি।
১৬। স্বাধীন ইসলামী শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের প্রতি গুরুত্ব প্রদান।
১৭। শিশু-কিশোরদের প্রতি গুরুত্ব।
১৮। যুগ সচেতন আলেম ও আল্লাহওয়ালা দাঈ তৈরী।
১৯। ইসলামী জাগরণ ও আন্দোলনকে সঠিক পথে পরিচালিত করা।
২০। অমুসিলম প্রতি ইসলামের দাওয়াত।
এই ২০টি স্তম্ভের ওপর যদি এই উম্মাহ সত্যিকার অর্থে আবারো কাজ করে, আবারো সাইয়্যেদ আবুল হাসান আলী নদবীর মত কেউ যদি এই স্তরগুলোর হাল ধরেন তাহলে নিঃসন্দেহে এই উম্মাহ আবারো এগিয়ে যেত। আমাদের আবারো এমন মানুষদের দরকার যারা একটা উম্মাহ হিসেবে কেন আমরা ব্যর্থ হচ্ছি তা নিয়ে গবেষণা করে নিজেরা নেপথ্যে থেকে দিক নির্দেশনা দিবে।