মহান আল্লাহ তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজীবের মধ্যে মানব জাতিকে সৃষ্টির সেরা হিসাবে সৃষ্টি করেছেন এবং সমস্ত মাখলুকূকে তাদের অনুগত করে দিয়েছেন। কিন্তুসেই শ্রেষ্ঠ জাতি মানুষ আজ অত্যাচার ও নির্যাতনের গভীর সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা কেউ নির্যাতনের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। জাতিগত নির্যাতনও সীমা ছাড়িয়েছে। বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ায় চোখ রাখলে অসংখ্য নির্যাতনের ছবি ভেসে আসে চোখের সামনে। নির্যাতিত মানবতার করুণ আর্তনাদ, অত্যাচারিতের হাহাকার, মাযলুমের আর্তচিৎকারে আজ আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। না জানি সকলের অগচোরে আজ কত মায়ের দু'চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অশ্রুধারা। কত বােনের গগনবিদারী চিঙ্কার গুমরে মরছে ইথারে ইথারে। কেন এই নির্যাতন? কেন এই আর্তচিৎকার? কেন এই হাহাকার? কেন এই আর্তনাদ? কোথায় এর প্রতিকার? কে দিবে মুক্তি? কোন্ তন্ত্র-মন্ত্র, কোন্ সংবিধান, কোন্ আইন দিবে মুক্তির নিশ্চয়তা? মুক্তির জন্য তাে বহু আইন প্রণয়ন হচ্ছে। আইনের পরিবর্তনও হচ্ছে। কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হচ্ছে না। নির্যাতনের গলায় যেন লাগাম পরানাে যাচ্ছে। নির্যাতনকারীরা যেন ক্রমান্বয়ে ছাড় পেয়ে নতুন নতুন পদ্ধতিতে নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। দিন দিন নির্যাতন যেন বেড়েই চলেছে। সত্যি বলতে কি, রােগ নির্ণয় না করলে যেমন রােগের সঠিক ঔষধ কোন ডাক্তার দিতে পারে না, তেমনি নির্যাতনের কারণও বের করতে না পারলে কোন আইন, তন্ত্র-মন্ত্র ও সংবিধান কাজে আসবে না। তাই প্রথমেই নির্ণয় করতে হবে রােগের কারণ। অতঃপর ঔষধ প্রয়ােগ করলেই আল্লাহর ইচ্ছায় মুক্তি পাবে ইনশাআল্লাহ। অত্র পুস্তিকাটিতে মূলত বিভিন্ন রকম নির্যাতনের কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। সাথে সাথে কারণ নির্ণয় ও সমাধানের রাস্তা বলে দেয়ার প্রচেষ্টা করা হয়েছে !