‘আমি বিলাল। গায়ের বরণ কালো। আবেসিনিয়ার এক নিগ্রো দাস রাবাহের ঘরে জন্ম আমার। দাসের ছেলে হিসেবে জন্ম থেকেই আমি দাস। দাসত্বের মাঝেই আমার চোখের আলো ফুটেছে। বেড়ে উঠেছি গোলামীর শৃংখল পায়ে জড়িয়ে। এই গোলামীর মধ্য দিয়েই যৌবনকে স্পর্শ করেছি। দাস হিসেবে আমার বেচা-কেনা হয়েছে বারবার…’ এভাবেই বইটির সূচনা। এক জীবনঘনিষ্ঠ আত্মকথনের মধ্য দিয়ে। এই আত্মস্বর এগিয়ে গিয়েছে দীর্ঘ স্মৃতিচারণের পথ ধরে। অতীতের দিনগুলোর নিখুঁত ছবি যেন এঁকে দিচ্ছিলেন বেলাল রা. উপস্থিত শ্রোতাদের কল্পনার ক্যানভাসে। শৈশবের দাসত্ব, কৈশরের বঞ্চনা, যৌবনের নির্মম অত্যচার, পরবর্তীতে ইসলাম গ্রহণের মধ্য দিয়ে অর্থময় প্রশান্তিপূর্ণ জীবনে প্রবেশের গল্পগুলো একের পর এক উঠে এসেছে। বইয়ের ভাব যেমন যেমন উচ্চস্তরের, ভাষাও তেমনি প্রঞ্জল, গতিশীল ও ওজস্বিনী। লেখক সৈয়দ সালিম গিলানী একাধারে সুনিপুণ বাকশিল্পী, কবি ও ভক্ত। তার আন্তরিকতাপূর্ণ ভক্তির ভাবোচ্ছ্বাস ও কাব্যের লালিত্য গ্রন্থটিকে সুষমামণ্ডিত করেছে। তার ভাব ও ভাষায় কাব্যের ললিত রচনায় প্রতিধ্বনিত হয়েছে ভক্তিপ্রবণ মুসলিম অন্তরের মর্মকথা।