পৃথিবীতে আমাদের অবস্থান খুবই সামান্য সময়ের জন্য এবং আমাদেরকে এখানে পাঠানাে হয়েছে একটি বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে: আল্লাহ তায়ালার ইবাদত। এমন নয় যে, আমাকে প্রদত্ত জীবনের কিছু অংশ ইবাদতের জন্য আর কিছু অংশ ব্যয়িত হবে অন্য কাজে৷ বরং আমার সৃষ্টিই হয়েছে যেন আমি ইবাদত করি। যেন আমি নিরত ব্যাপৃত থাকি আমার সৃষ্টিকর্তার ইবাদতে; তার সপ্রশংস তাসবিহ পাঠে৷
তা হলে জীবনযাপনের স্বাভাবিক কাজগুলাে কি আমি করবাে না! এখানেই পার্থক্য একজন মুমিনের সাথে একজন অ-মুমিনের। মুমিন যাপিত জীবনের সব কাজই করবে৷ সে ঘুমােবে, সে জাগ্রত হবে ঘুম থেকে, সে বাজারে যাবে, সে রােজ অফিস। করবে নয়টা-পাঁচটা৷ অন্যদের মতােই জীবনের নানাবিধ কর্মযজ্ঞে শামিল হবে সে৷ কিন্তু পার্থক্য হলাে— মুমিন যাপিত জীবনের কোনাে এক ফাঁকে ইবাদত করবে এমন নয়; বরং তার জীবনযাপনটাই হবে ইবাদত৷ তার ঘুম, তার জাগরণ। তার মৃত্যু, তার বেঁচে থাকা— সবই হবে ইবাদত৷ আর এটা তখনই হবে যখন মুমিনের দিনযাপন হবে কুরআন ও সুন্নাহর নির্দেশমতাে৷
কীভাবে মুমিনের ঘুম ইবাদত হবে! ঘুম থেকে জাগরণ কীভাবে হতে পারে তার নাজাতের মাধ্যম— এসব নিয়েই কিছু আলােচনা করবার চেষ্টা করেছি ‘আমার ঘুম আমার ইবাদত’ বইটিতে৷