১৯৬০ সন। এটি আমার জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ সন। আমার চিন্তা চেতনার বাঁক পরিবর্তনের সন।
আমি তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী বিভাগের বি.এ. (অনার্স) ক্লাসের ছাত্র। থাকি ফজলুল হক মুসলিম হলে।
এই সনেই আল্লাহ রাব্বল আলামীনের অপার অনুগ্রহে আমি উপলব্ধি করতে সক্ষম হই যে আল কুরআন অর্থ ও ব্যাখ্যাসহ পড়া প্রয়ােজন। তখন থেকে এইভাবেই আল কুরআন পড়ার প্রয়াস চালিয়ে আসছি এবং বিপুলভাবে উপকৃত হচ্ছি ।
ছাত্র জীবনেই বেশ কয়েকজন উঁচু মানের ইসলামী চিন্তাবিদের দারসুল কুরআন শুনার সৌভাগ্য আমি লাভ করি। আমি লক্ষ্য করি, তারা দারসুল কুরআন পেশ করার একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি অনুসরণ করছেন।
প্রথমত আল কুরআনের অংশ বিশেষ পাঠ করা, দ্বিতীয়ত পঠিত অংশের ভাবানুবাদ পেশ করা, তৃতীয়ত পঠিত অংশ বা সূরাটি নাযিলের প্রেক্ষাপট বা পরিপ্রেক্ষিত বর্ণনা করা, চতুর্থত পঠিত অংশের ব্যাখ্যা পেশ করা এবং পঞ্চমত পঠিত অংশের মূলীভূত শিক্ষার দিকে পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
আমার মনে হয়, এটি দারসুল কুরআন পেশ করার একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। আমাকেও কখনাে কখনাে দারসুল কুরআন পেশ করতে হয়েছে এবং এখনাে করতে হয়, যদিও বিষয়টি আমার জন্য কঠিন। পূর্বাহ্নে নােট করে নিয়ে তার ভিত্তিতে আমি দারস পেশ করার চেষ্টা করি।
এই পুস্তিকায় দারসুল কুরআনের ছয়টি নােট সন্নিবেশিত হয়েছে। আশা করি, কোন না কোন পাঠক এতে উপকৃত হবেন।