আবু ইসহাক আস-সাবীঈ (রহ) আবু ইসহাক ডাকনাম এবং আসল নাম ‘আমর। ডাকনামেই তিনি বেশি প্রসিদ্ধ। তাঁর পিতার নাম আবদুল্লাহ। মূলত: তাঁরা হামদানের অধিবাসী ছিলেন। হামদানে তাদের একটা বিখ্যাত ও অভিজাত খান্দান ছিলাে। ইসলামী যুগে এ খান্দান কূফায় এসে বসতি স্থাপন করে। হযরত উছমানের (রা) খিলাফতকালে আবু ইসহাকের দাদা ‘উবাইদ মদীনায় আসেন। খলীফা হযরত উছমান (রা) তাঁদের খান্দানী আভিজাত্যের প্রতি লক্ষ্য রেখে তার জন্য পনের হাজার পাঁচশ’ এবং পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের জন্য একশ’ করে ভাতা নির্ধারণ করেন। আস-সাবী নামক স্থানে আবাসন গড়ে তােলার কারণে “আস-সাবীঈ” বলা হয়। আবু ইসহাক সম্ভবত: হযরত উছমানের (রা) খিলাফতকালের শেষভাগে মাত্র দুই বছর বাকী থাকতে জন্মগ্রহণ করেন। উমাইয়্যা যুগেও তাঁর খান্দানী মর্যাদা অক্ষুন্ন থাকে। হযরত মু'আবিয়ার (রা) সময়ে তিনি ও তাঁর পিতা তিনশ’ করে ভাতা লাভ করতেন। জ্ঞান ও মনীষা তৎকালীন জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র কূফায় আবু ইসহাক বেড়ে ওঠেন। তাঁর মধ্যে জ্ঞান অর্জনের স্বভাবগত যােগ্যতা ও ক্ষমতা ছিলাে। একারণে কূফার আলিমগণের নিকট থেকে পূর্ণ ফায়দা হাসিল করেন এবং শ্রেষ্ঠ আলিমগণের মধ্যে পরিগণিত হন। ইমাম নাবী (রহ) বলেন, তাঁর বিশ্বস্ততা, মহত্ব ও প্রশংসার উপর সকলে একমত। ইমাম যাহাবী (রহ) বলেন, তিনি জ্ঞানের ভাণ্ডার ছিলেন। তাঁর গুণ-বৈশিষ্ট্য অনেক। ইবন নাসির উদ্দীন তাকে ইসলামের ইমাম ও হাদীছের বড় হাফিযগণের মধ্যে উল্লেখ করেছেন। কুরআন তিনি আল কুরআনের একজন বিখ্যাত কারী ছিলেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবন মাসউদের (রা) ছাত্র ও সংগী-সাথীগণ তাঁর নামের শেষে “আল কারী” যােগ করে বলতেন, ““আমর