পর্দা শব্দটি মূলতঃ ফার্সী। যার অর্থ আবরণ বা ঢাকনা। আরবী ভাষায় বলে হিজাব। পবিত্র কালামে একাধিক সূরাও রয়েছে তাতে পর্দা সংক্রান্ত | বিস্তারিত আলােচনা করা হয়েছে। আমরা অনেকে পদা বলতে অবরােধ প্রথা বা নারীকে চার দেয়ালের ভিতর গৃহবন্দী করে রাখা বুঝি। কিন্তু ইসলামের দৃষ্টিতে পর্দা হচ্ছে পােষাক ও আচরণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ জীবন গঠন করা। | বর্তমান যুগে পদা একটি সামাজিক ভদ্রতার প্রতীক ও আভিজাত্যের পরিচায়ক। সামাজিক প্রেক্ষাপটে এটি একটি বহুল আলােচিত বিষয়, যা এক শ্রেণীর লােকের নিকট অত্যন্ত মর্যাদার বিষয় বস্তু। তারা চান মানুষ পর্দার মাধ্যমে আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মেনে পশুত্বকে বাদ দিয়ে সৃষ্টর সেরা হিসাবে বেচে থাক। অবহমানকালের এ চিররীতি বজায় রেখে সমাজ জীবনের ভীতকে মজবুত করুক। পারিবারিক বন্ধনকে করুক আরও সু-দৃঢ়।
আরেক শ্রেণীর লােকের নিকট এটি একটি সমালােচনার বিষয়। তাদের ভাষায়, সেকেলের গােড়ামী চিরতরে বন্ধ হােক। এটি সকল প্রকার প্রগতি ও উন্নতির অন্তরায়, তাই একে সমাজের সর্বস্তর থেকে বাদ দিতে হবে। পর্দার দ্বারা মানুষের স্বহজাত ধর্মে আঘাত করা হয়, তাই তারা প্রকৃতির সন্তান হিসাবে বেঁচে থাকতে চান । যথেচ্ছা যৌনাচার, বিজ্ঞাপনে নারীর মাংসল দেহ প্রদর্শনী, সর্বত্র নারীকে ভােগের সামগ্রী বানিয়ে তাদের দ্বারা ফায়দা লুটতে চায়।
পর্দার মূল কথা হচ্ছে, পর পুরুষের সামনে নারীদের রূপ লাবণ্য প্রকাশ না করা । এমনিভাবে পুরুষদের জন্যও পর্দা সংক্রান্ত বিধান রয়েছে। পর্দার বহু অর্থ হতে পারে, কেবল বাহ্যিক পর্দাই যে সীমাবদ্ধ তা নয় বরং মনের পর্দাও একটি বিরাট স্থান দখল করে আছে। এমনিভাবে কথা, কাজ, বাচন ভঙ্গি, দৃষ্টি, আচার। আচরণ, মােটকথা সব কিছুতেই ক্ষেত্র বিশেষ পর্দার বিধান প্রযােজ্য। এমনিভাবে মুহরিমদের সাথে এক রকম পর্দা ও গায়রে মুহরিমদের সাথে আরেক রকম পদার বিধান রয়েছে। নিজের মাতা, স্ত্রী, বােন, ভাই, বন্ধু, পিতা, পরিচিত, অপরিচিত সর্ব ক্ষেত্রে পর্দা করার বিভিন্ন স্তর রয়েছে। আরবীতে পদাকে হিজাব বলে আখ্যায়িত করা হয়। অনেক ক্ষেত্রে হিজাব গ্রহণ করার পরও মা-বােনেরা বেপর্দা থেকে যায়। ক্ষেত্র বিশেষ হিজাব অনেকে