আরবের এক অদম্য সাহসী ছেলে জুবাইর। পিতাহীন জুবাইর ছিলেন অতুলনীয় সাহস আর বুদ্ধিমত্তার অধিকারী। আরবের বৈরী পরিবেশ এবং মাতার শাসন তাকে কঠিন সংকল্পবদ্ধ এবং দুঃসাহসী করে তুলেছিল। তাকে ভয় পাইয়ে দেওয়ার মতো কোনো আরব ছিল না মক্কায়। দুর্দমনীয় এই বীর, কিশোর বয়সেই প্রবেশ করেন ইসলামের শান্ত-স্নিগ্ধ ছায়াতলে।
ইসলাম এবং ইসলামের নবির শত্রুরা তাকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি করে। সয়ে যান তিনি ব্যথা-বেদনা, দুঃখ-দুর্দশা। কিন্তু একদিন নবিজিকে হত্যা করবে কাফিররা শুনে কিশোর জুবাইর অগ্নিশর্মা হয়ে উঠেন। উন্মুক্ত তরবারি হাতে ছুটেন পরিকল্পিত স্থানে। হয়ে যান ইসলামের জন্য প্রথম তরবারি উন্মোচক।
বদর উহুদে আরবি এই বীরের নৈপুণ্য ছিল অবাক করার মতো। কুরাইশের বড় বড় বীরদের জাহান্নামে পাঠিয়েছেন নির্বিঘ্নে। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত হয়েছেন নিজেও। তবুও লড়েছেন। ইসলামের এই মহাবীরের জীবন ছিল এমনই-সব বীরত্বপূর্ণ গল্পের সমাহার। ইসলামের জন্য তার অবদান চিরভাস্বর হয়ে থাকবে ইতিহাসের পাতায় পাতায়। রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রাদু আনহু।
মিসরের প্রখ্যাত মুহাক্কিক, লেখক ও সাহিত্যিক শাইখ মুহাম্মদ আশরাফ আল-ওয়াহশ রচিত এর গ্রন্থ আমাদের এ মহান সাহাবিরই গল্প শোনাবে।