কিশোর বালক। সম্ভ্রান্ত হাশিমি গোত্রের আবু তালিবের পুত্র। থাকতেন নবিগৃহে। বুদ্ধিমান চঞ্চল এক বালক তিনি। একদিন নবি এবং নবিপত্নী খাদিজাকে দেখে ফেলেন নামাজ আদায় করতে। দেখে অবাক হন—কী করছেন তারা—প্রশ্ন জাগে। প্রশ্নের কথা খুলে বলেন চাচাতো ভাই নবি মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে। জানতে চান কী করছিলেন তারা।
নবিজি তাকে দাওয়াত দেন। দ্বীনে ইলাহির দাওয়াত। গ্রহণ করে নেন আলি। হয়ে যান কিশোরদের মাঝে প্রথম ইসলাম গ্রহণকারী। বদর, উহুদ, খন্দক, আহজাবের বীর তিনি। যার তরবারির ধার কুপোকাত করত আল্লাহর দুশমনদের। পরাজিত হত কাফিরদের বড় থেকে বড় বীর। তিনি ইলমের শহরের দরোজা আলি ইবনু আবি তালিব।
ইসলামের তৃতীয় খলিফা হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহুর পর খিলাফতের দায়িত্বপ্রাপ্ত হন তিনি। কিন্তু আভ্যন্তরীণ সমস্যা তার বিজয়ের পথে বাধা হয়ে ছিল। খলিফা উসমান কত্যাকাণ্ড হয়ে ওঠে মুসলিমদের মাঝে বিভক্তির কারণ। জঙ্গে জামাল, জঙ্গে সিফফিনের মতো ভয়ানক যুদ্ধও অবলোকন করে মুসলিম বিশ্ব। চার বছরের খিলাফত জীবন শেষে মসজিদে লুকিয়ে থাকা এক ঘাতকের হাতে শাহাদাত বরণ করেন আল্লাহর পথের এই মহাবীর।
মিসরের প্রখ্যাত মুহাক্কিক, লেখক ও সাহিত্যিক শাইখ মুহাম্মদ আশরাফ আল-ওয়াহশ রচিত এর গ্রন্থ আমাদের এ মহান সাহাবিরই গল্প শোনাবে।