আবরাহার হস্তীবাহিনী ধ্বংসের তেরোতম বছরে মক্কার খাত্তাবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন এক শিশু। নাম তার আবু হাফস উমর ইবনুল খাত্তাব। সাহস বুদ্ধিমত্তা আর লড়াকু হিসেবে ছিলেন সকলের ভয়ের কারণ। জাহিলি যুগের যুদ্ধ-বিগ্রহের কঠিন সময়ে দূতিয়ালির কাজ আঞ্জাম দিতেন তিনিই। মক্কার ছোট-বড় সকলেই তাকে সমীহ করে চলত।
উমর ছিলেন দুর্দান্ত সাহসী এবং কঠিন স্বভাবের অধিকারী। ইসলামের শুরুযুগে ইসলামকে মিটিয়ে দিতে কাফিরদের সাথে ভূমিকা রেখেছিলেন তিনিও। ইসলামের নবি, জগতের শ্রেষ্টজনকে হত্যার উদ্দেশ্যে নাঙ্গা তলোয়ার নিয়েছিলেন হাতে। কিন্তু তার সেই নাঙ্গা তলোয়ারই ইসলামের সম্মান বৃদ্ধিতে হয়েছিল বদ্ধপরিকর।
বদর, উহুদ, খন্দক-সহ নবিজির জীবদ্দশায় নবিজির সাথে সকল জিহাদে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। মক্কার কাফির, রোমান-পারসিক খ্রিষ্টান, আরবের ইহুদিদের রক্তে রাঙিয়েছেন সেই নাঙ্গা তরবারি। জয় করেছেন শত্রুর অজেয় দুর্গ।
ইসলামের প্রথম খলিফা মৃত্যুকালে খিলাফতের দায়িত্ব অর্পণ করে যান উমরের হাতে। সে দায়িত্ব তিনি বেশ দারুণভাবেই সম্পন্ন করেন। পূর্ব থেকে পশ্চিমে ছড়িয়ে দেন ইসলামের ধ্বনি। সত্য ও ন্যায়ের আলোকবর্তিকা। জয় করেন মুসলিমদের প্রথম কিবলা।
জীবনের বর্ণাঢ্য আয়োজন শেষে ইসলামের এই মহান খাদিম আবু লুলু নামক এক ইহুদির হাতে নামাজরত অবস্থায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। সেই আঘাতেই অর্ধজাহানের শাসক, আমিরুল মুমিনিন হজরত উমর ইবনুল খাত্তাব মৃত্যুবরণ করেন। পাড়ি জমান রফিকে আলার গন্তব্যে। রাদিয়াল্লাহু আনহু ওয়া রাদু আনহু।
মিসরের প্রখ্যাত মুহাক্কিক, লেখক ও সাহিত্যিক শাইখ মুহাম্মদ আশরাফ আল-ওয়াহশ রচিত এর গ্রন্থ আমাদের এ মহান সাহাবিরই গল্প শোনাবে।