এই দুনিয়ায় প্রাপ্ত নিয়ামতের মাঝে ইমান হলো সবচেয়ে বড় নিয়মাত। এর কোনো তুলনা নেই। এটি সবচেয়ে বড় সফলতা। এটিই সফলতার মাপকাঠি। ইমানের সুবাতাস যখন কোনো বান্দার হৃদয়ে বয়ে যায়, সে হৃদয় পুলকিত হয়। ইমানি শক্তিতে বলিয়ান হয় সে হৃদয়। তখন বান্দা প্রতিটি কাজে-কর্মে, কথা-বার্তায় ইমানের সুখ ও সৌভাগ্যের আনন্দ অনুভব করে। মুমিন বান্দার জন্য দুটি জান্নাত। যদি সে তার দ্বিতীয় জান্নাতে প্রবেশ না করে, তবে প্রথমটিতে প্রবেশ করতে পারবে না। যেমন ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এই দুনিয়ার বুকে একটি জান্নাত রয়েছে। যে তাতে প্রবেশ করতে পারেনি, সে আখেরাতের জান্নাতেও প্রবেশ করতে পারবে না। আর দুনিয়ার জান্নাত হলো, ইমান। হ্যাঁ, খাঁটি ইমান আমাদেরকে নিশ্চয়তা দেয় সুখময় জীবনের। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মুমিনদের মধ্যে যে ব্যক্তি সৎকর্ম করবে, সে পুরুষ হোক কিংবা নারী, আমি অবশ্যই তাকে উত্তম জীবন দান করবো। তাদেরকে তাদের উৎকৃষ্ট কর্ম অনুযায়ী অবশ্যই প্রতিদান দেবো।’ ‘দুই জান্নাত : আখিরাতের জান্নাতের আগে দুনিয়ার জান্নাতে বাস করুন’ গ্রন্থটি পাঠকে সে সুখময় জীবন পথ দেখাবে বলে আশা করি।