আল্লাহ একক সার্বভৌম সপ্রমাণ। তিনি স্রষ্টা অর্থাৎ নমুনাহীন এক সৃজন-কারিগর। তিনি দৃশ্যমান এই বিশ্বজগৎ-সহ আরও আরও অসংখ্য অজানিত সৃষ্টিবিশ্বের অধিকারী। তিনি সৃজনকর্তা কিন্তু জনক নন। তিনি বিস্তার-দানকারী কিন্তু জাতক নন। তিনি এক, একক, অবিভাজ্য ও অদ্বিতীয়। তাঁর কোনো শরিক নেই। আর তাঁর পুত্রসন্তানস্ত্রী কিংবী সঙ্গী? সেইসব ভাবকল্প তাঁর বেলায় কিংবা তাঁর জন্য সাব্যস্ত করা নিতান্তই মূর্খতা, অজ্ঞতা এবং ক্ষমার অযোগ্য একটি অপরাধ। আর তাঁর জন্য কোনো প্রতিমূর্তি প্রতিপন্ন করা, সে তো আরও মারাত্মক অন্যায় এবং এই অন্যায় যে করে, তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
তাঁর সর্বশেষ বাণীবাহী মানবপুরুষ হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একজন আরব-বেদুইন তথা উম্মি লোক হওয়া সত্ত্বেও সৃষ্টিবিশ্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মহান আল্লাহর প্রতিনিধিত্বের সকল সত্য-ইতিহাস কুরআনুল কারিমের মাধ্যমে একে একে পুঙ্খানুপুঙ্খরূপে বর্ণনা করেছেন, এটি তাঁর অপ্রতিদ্বন্দ্বী আশ্চর্য এক মুজিজা। একে যে অস্বীকার করবে, সে-ও শাস্তির আওতাভুক্ত হতে বাধ্য।
আধুনিক-কালে ধর্মতত্ত্ব একটি চমৎকার আলোচ্য-মাধ্যম। এর মাধ্যমে সত্য (ইসলামধর্ম) তার নিকষ পাথরে আরও স্বচ্ছ আর পরিচ্ছন্ন আরও পরিজ্ঞানময়-রূপে প্রতিভাত হচ্ছে। ‘এক-এর আহ্বান’ গ্রন্থটি মূলত ধর্মতাত্ত্বিক একটি ঈমান-জাগানিয়া আলোকস্তম্ভ। এর জ্যোতির্ময় আভার শেষ নেই।