পরম সুখের আবাস জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দেওয়া হলো আমাদের আদি পিতা-মাতা আদম-হাওয়া (আ.) দম্পতিকে। প্রথম মানবসংসারের গোড়াপত্তন হলো পৃথিবীর বুকে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়ল মানুষ। গড়ে উঠল ভিন্ন ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতি। আল্লাহ তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে মানুষের জন্য পথনির্দেশিকা পাঠালেন। যারা এই নির্দেশিকা অনুসারে চলবে, তারা ফিরে পাবে জান্নাত; আদমের আদিম ঠিকানা।
সময় গড়াল সময়ের নিয়মে। বয়স বেড়ে চলল পৃথিবীর। পাল্লা দিয়ে বাড়ল মানুষের সংখ্যা। তারা ক্রমে ভুলতে বসল আল্লাহর নির্দেশনা। গোমরাহির পথ ধরে লিপ্ত হলো প্রকৃতির পূজা ও পৌত্তলিকতায়। আদম (আ.)-এর পথ ধরে পৃথিবীতে এলেন আরও অনেক নবি-রাসূল। যুগে যুগে তাঁরা নিজ জাতিকে সতর্ক করার কাজে আত্মনিয়োগ করলেন। স্মরণ করিয়ে দিলেন মহান আল্লাহর বাণী, তাঁর আদেশ-নিষেধের সীমারেখা।
কেউ কেউ তাঁদের কথা মেনে সংশোধিত হলো, ফের আঁকড়ে ধরল সিরাতুল মুস্তাকিমের পথ। অধিকাংশই পৃষ্ঠপ্রদর্শন করল। ফলে তাদের ওপর নেমে এলো আল্লাহর ভয়ংকর আজাব! বন্যায় ভেসে গেল নুহ (আ.)-এর অবাধ্য কওম। ধ্বংস হয়ে গেল অহংকারী আদ ও সামুদ জাতি। খোদাদ্রোহী নমরুদের মৃত্যু হলো একটি তুচ্ছ প্রাণীর হাতে। অথই পানিতে ডুবে যবনিকাপাত ঘটল ফেরাউন অধ্যায়ের। কিন্তু টিকে রইলেন কেবল সত্যাশ্রয়ী মুমিনেরা। পৃথিবীর ইতিহাসে পয়গম্বরদের সেই ঘটনাবহুল জীবনপরিক্রমা বিধৃত হয়েছে বইটিতে। চলুন তাহলে, সময়ের হাত ধরে ঘুরে আসি নবিদের জামানা।