একজন মু’মিনের নিকট পৃথিবীতে ঈমানের চেয়ে দামী দ্বিতীয় কোন বস্তু নেই। তার দুনিয়া ও আখেরাতের সফলতা এই ঈমানের উপরেই নির্ভরশীল। ঈমান বিহীন ব্যক্তি সৃষ্টির মাঝে সর্বনিকৃষ্ট। তাই ঈমানের হেফাযত করা প্রত্যেক মু’মিনের জীবনের এক নম্বর কাজ। ঈমানের বিপরীতে তার কাছে জীবন ও সম্পদ এতটাই তুচ্ছ যে, ঈমানের কারণে সে অবলীলায়, নিশ্চিন্তে হযরত বেলাল (রা.)-এর মত গলায় রশি নিতেও সামান্য দ্বিধা করে না।
কিন্তু মহামূল্যবান এই ঈমান আজ মোটেও নিরাপদ নয়। শয়তানের নানামুখী ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে অগণিত মানুষ আজ ঈমানহারা। বাহ্যত দেখতে মুসলিম মনে হলেও প্রকৃত অর্থে অনেকেরই ঈমান নেই। কেউ শিরক করে, কেউ কুফর করে, কেউ নিফাকের সাথে জড়িত হয়ে, আবার কেউ সংশয়ে পড়ে ঈমান হারিয়ে বসে আছে। অথচ তারা নিজেদেরকে মু’মিনই ভাবছে।
ঈমানের এ দৈন্যতার অন্যতম কারণ হল- লোকজন ঈমানের যত্ন নেয়া ভুলে যাবে। শয়তান যে ঈমান কেড়ে নিতে পারে, এ ব্যাপারে তাদের কোন পেরেশানী থাকবে না। এ সুযোগে শয়তান তার মিশনে সফল হয়ে যাবে। আলোচ্য বইটিতে ঈমান নামক এ অমূল্য সম্পদ কিভাবে গ্রহণ ও সংরক্ষণ করতে হয়, হারানো ঈমান কিভাবে আবার ফিরে পাওয়া যায়, কোন কোন কারণে ঈমান নষ্ট হয়ে যেতে পারে, নিজেদের জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে কিভাবে কুফর, শিরক ও নিফাক ঈমান ধ্বংস করে দিচ্ছে, এ বিষয়গুলো কুরআন-সুন্নাহর আলোকে উপস্থাপনের চেষ্টা করা হয়েছে।